১২ বছর ধরে চলে এই প্রতারণার মামলা। শেষে ব্যবসায়ী বাবা-ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। —প্রতীকী চিত্র।
১১ বছরের পুরনো মামলায় ব্যবসায়ী বাবা ও ছেলেকে এক বছরের কারাদণ্ড দিল গুরুগ্রামের একটি আদালত। পঞ্জাবের বাসিন্দা ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কে চেক বাউন্সের অভিযোগ উঠেছিল। ১১ বছরের পুরনো সেই মামলায় অবশেষে সাজা শোনাল গুরুগ্রামের আদালত।
সালটা ২০০৯। দীপক বনশল নামে এক দুধ ব্যবসায়ী পঞ্জাবের একটি দুধ কোম্পানিকে বিশাল পরিমাণ দুধ বিক্রি করছিলেন। সেই কোম্পানির মালিক অর্পিন্দর পন্নু এবং তাঁর বাবা রঞ্জিৎ সিংহ পন্নু। সে বছরের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দুধ সরবরাহ করলেও রঞ্জিতের সংস্থা তাঁকে টাকাপয়সা দেননি বলে অভিযোগ করেন দীপক। জানান সব মিলিয়ে ধারের অঙ্ক ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
টাকা চেয়ে চেয়ে অবশেষে ২০১০ সালের অক্টোবরে দীপককে টাকা পাঠাচ্ছেন বলে জানান রঞ্জিৎ। ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার একটি চেকে সই করে দেন তিনি। কিন্তু সেই চেক ভাঙাতে গিয়ে বিপত্তি। দু’ দু বার চেক বাউন্স করে। ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয় রঞ্জিতের সংস্থার ব্যাঙ্কে অত টাকাই নেই। দীপকের অভিযোগ, তিনি বাবা ও ছেলের দ্বারস্থ হলে আবার জোটে প্রতিশ্রুতি। বলা হয় টাকা পেয়ে যাবেন শীঘ্রই। কিন্তু আবারও একই ঘটনা ঘটে।
এ বার প্রতারণার অভিযোগ করে দীপক। দীর্ঘ ১২ বছর চলে সেই মামলা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সব মিলিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পেতেন অভিযোগকারী। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আদালত বাবা-ছেলেকে জরিমানা-সহ কারাদণ্ড দিয়েছে।