FASTag

সব গাড়িতে ফাসট্যাগ আবশ্যিক কাল থেকে

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

আর নগদ নয়। নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ কাল, শুক্রবার থেকে শুধু ফাসট্যাগের মাধ্যমেই টোল মেটানো যাবে টোল প্লাজ়ায়। ওই দিন থেকে চার বা তার বেশি চাকার গাড়িতে ‘ফাসট্যাগ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশে সারা দেশে জাতীয় সড়কের উপরে থাকা কমবেশি ৫২৫টি টোল প্লাজ়ায় এই নিয়ম বলবৎ হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে ফাসট্যাগ চালু থাকলেও পাশাপাশি টোল প্লাজ়াগুলিতে নগদে টোল মেটানোর ব্যবস্থা ছিল। তার জন্য হাইব্রিড লেনের ব্যবস্থা ছিল ফাসট্যাগ লেনের দু’পাশে। যাঁদের গাড়িতে ফাসট্যাগ থাকত না, তাঁরা নগদে টোল মেটানোর সুযোগ পেতেন। কাল থেকে সেই ব্যবস্থা উঠে যাচ্ছে। গাড়িতে ফাসট্যাগ না-থাকলে স্বাভাবিক হারের দ্বিগুণ হারে টোল মেটাতে হবে। সেই টাকা অবশ্য নগদে বা কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের খবর, টোল প্লাজ়ায় গাড়ির ভিড় কমানোর পাশাপাশি নগদ লেনদেন বন্ধ করতেই এই বন্দোবস্ত। এই ব্যবস্থায় সব গাড়িতেই ফাসট্যাগ স্টিকার বসাতে হয়। প্রতিটি গাড়ির জন্য পৃথক কোড থাকে। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইসের মাধ্যমে বিশেষ যন্ত্র ওই কোড চিনে নেয়। তার পরে ফাসট্যাগ অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের নির্দিষ্ট অঙ্ক কাটা যায়। কোনও কারণে ফাসট্যাগ অ্যাকাউন্টে টাকা ফুরিয়ে গেলে টোল প্লাজ়ায় রাখা পয়েন্ট অব সেলিং মেশিন থেকে তা রিচার্জ করানো যায়।

Advertisement

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশের ২০টির বেশি ব্যাঙ্কে ফাসট্যাগ স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে ফাসট্যাগ স্টিকার কেনা যায়। ব্যাঙ্ক ছাড়াও টোল প্লাজ়ায় ওই স্টিকার কেনা যাবে বলে জানান জাতীয় সড়ক নিগমের কলকাতা অঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার আরপি সিংহ। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে টোল প্লাজ়ায় প্রচারপত্র বিলি ছাড়াও মাইক্রোফোনের মাধ্যমে প্রচার চলছে। ফাসট্যাগ সক্রিয়

করার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধানের জন্য টোল প্লাজ়ায় বিশেষ কাউন্টার থাকছে। কর্তাদের দাবি, সারা দেশের ৬০ শতাংশ গাড়ি এখন এই ব্যবস্থায় টোল মেটায়।

নতুন নিয়মে যাত্রিবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে ফাসট্যাগ না-থাকলে সার্টিফিকেট অব ফিটনেস বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র মিলবে না। নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে ডিলারদের ওই স্টিকার সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে ফাসট্যাগের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টোল মেটাতে হলে বেসরকারি বাস সমস্যায় পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বাস ও যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস রোডের দাবি তুলেছেন তিনি।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্থানীয় গাড়ির জন্য কম খরচের বিশেষ টোল রয়েছে। কারণ, ওই সব গাড়ি পুরো পথ ব্যবহার করে না। তবে তার জন্য গাড়ির ঠিকানা এবং যাতায়াতের পথ আগাম জানানো প্রয়োজন। কিন্তু সে-ক্ষেত্রেও টাকা কাটা হবে ফাসট্যাগের মাধ্যমেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement