ফারুখ আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
প্রায় সাতমাসের বন্দিদশার পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উপত্যকার প্রশাসন। শুক্রবার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে এমনটাই জানাল জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতর।
তিন-তিন বার জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ফারুক আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে পাঁচবার সাংসদও হয়েছেন। এই মুহূর্তেও লোকসভার সদস্য তিনি। গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর তাঁকে বন্দি করা হয়।
ওই মাসেরই ১৭ তারিখে ফারুক আবদুল্লার উপর জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে বিনা বিচারে দু’বছর পর্যন্ত কাউকে আটকে রাখা যায়।
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন: উন্নাও: নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়ে ১০ বছরের কারাবাস কুলদীপ সেঙ্গারের
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। তার পরেও ছাড়া হয়নি ফারুককে। বরং ডিসেম্বরে তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।
অবিলম্বে ফারুক আবদুল্লার মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি ৮টি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যৌথ আবেদন জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি ফারুক আবদুল্লার ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং উপত্যকার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার ওই টুইটারে ওই আবেদনটি প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়, ‘‘মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এতে বিচারব্যবস্থা, স্বাধীনতা , সমানাধিকার, সৌভ্রাতৃত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তির দাবি জানানো আমাদের কর্তব্য।’’
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্ত গুগলের কর্মী, গ্রিস থেকে ফিরেই সংক্রমণ
তার পরই এ দিন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে ফারুককে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হল। তবে ওমর এবং মেহবুবাকে নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।