রাকেশ টিকায়েত। ফাইল চিত্র।
আন্দোলনকারীদের রুখতে রাজ্য সরকারগুলো যে পদক্ষেপ করছে, তার বিরুদ্ধে এ বার পাল্টা কৌশল নিতে কৃষকদের আহ্বান জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। যে কৃষক পরিবারের ছেলেরা সেনা এবং পুলিশে রয়েছেন সেই সব পরিবারকে তাঁদের ছেলেদের ছবি নিয়ে আন্দোলনে বসার আর্জি জানিয়েছেন টিকায়েত।
কেন্দ্র সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে টিকায়েতের বার্তা, ‘‘শুনে রাখুন আগামী দিনে আন্দোলনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাব। যে সব কৃষক পরিবারের ছেলে সেনা এবং পুলিশে কাজ করেন তাঁদের ছবি নিয়ে এ বার সেই সব পরিবার আন্দোলনে বসবেন।’’ এখানেই থামেননি টিকায়েত। সরকার যদি তাঁদের দাবি না মানে তা হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং নানা পন্থায় সেই আন্দোলন চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের(বিকেইউ) এক শীর্ষ নেতার কথায়, “কৃষকদের মধ্যে একটা বিশাল অংশ আছে যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ সেনাবাহিনী অথবা পুলিশে আছেন। আমরা দেখতে চাই সরকার সেই সব পরিবারে আইনি নোটিস পাঠায় কিনা।” আরও এক বিকেইউ নেতা ধর্মেন্দ্র মালিক বলেন, “যে সব পরিবারে কোনও না কোনও সদস্য বাহিনী বা পুলিশে কর্মরত, সেই সব পরিবারকে আমাদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই কৌশলের মধ্য দিয়েই সরকারকে বোঝাতে চাইব যে, আইনি নোটিস পাঠিয়ে কৃষকদের মুখবন্ধ করা যাবে না।”
২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার পরই দিল্লির তিন সীমানায় আন্দোলনস্থলের কাছে কাঁটাতারের বেড়া, অস্থায়ী দেওয়াল এবং রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখতে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে তিন সীমানাকে। শনিবার দেশ জুড়ে তিন ঘণ্টার ‘চাক্কা জ্যাম’ করে কৃষক সংগঠনগুলি। সেই সঙ্গে টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সরকার যত ক্ষণ না নয়া কৃষি আইন বাতিল করবে, তত ক্ষণ বাড়ি ফিরবেন না আন্দোলনকারীরা।