ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চপ্পল চুরির অভিযোগ তুললেন এক কৃষকনেত্রী। তিনি যাতে চলতি কৃষক আন্দোলনের শামিল হতে না-পারেন সেই জন্যই চপ্পল চুরি করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। ঠাকুর গীতা ভারতী নামে ওই কৃষকনেত্রীর হুঁশিয়ারি, চপ্পল তিনি আদায় করেই ছাড়বেন। তাঁর অভিযোগের ভিডিয়োটি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে নেট নাগরিকদের একটা বড় অংশের মধ্যে।
নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমানায় লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন লক্ষাধিক কৃষক। সেই বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকেরা। গ্রেটার নয়ডাতেও বহু কৃষক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সেই বিক্ষোভস্থল থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন কিসান একতা সঙ্ঘের মহিলা মোর্চার সভাপতি ঠাকুর গীতা ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন এবং সরকার চক্রান্ত করে আমার চপ্পল চুরি করেছে। আমি যাতে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে না-পারি, সেই জন্যই এই কাজ করেছে। কিন্তু আমাকে এ ভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। খালি পায়ে-ই লড়াই করব। যারা আমার চপ্পল চুরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করব। এখনকার মতো, যা হোক করে এক জোড়া জুতোর ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু সরকারকে ওই চপ্পল ফেরত দিতেই হবে।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গীতা ভারতীর সঙ্গে বসে রয়েছেন, তাঁর সংগঠনের লোকজন। চপ্পল ফেরতের দাবিতে চলছে স্লোগানও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় চপ্পল ফেরতের দাবি তুলেছেন অনেকেই। লেখা হয়েছে, ‘গীতা ভারতী কি স্যান্ডল বাপস্ করো’। গরিমা চৌহান নামে এক জনের টুইট, ‘‘এই ধরনের ঘটনা সহ্য করা যায় না। এই ঘটনা প্রমাণ করে উত্তরপ্রদেশ নিরাপদ নয়, এমনকি চপ্পলও এখানে নিরাপদ নয়।’’ তবে ভারতীর সমালোচনাও করেছেন অনেকে। কেউ কেউ লিখেছেন, চপ্পল চুরির তদন্তে সিবিআই, এনআইএ-কে ডাকা উচিত। রাজা চট্টোপাধ্যায় নামে এক নেট নাগরিকের টুইট, ‘‘দেশে বিরোধীদের অবস্থা এমনই যে সব কিছুর জন্য মোদীকেই দায়ী করা হয়।’’