কৃষকদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ দিল্লির সীমানা। ছবি: পিটিআই
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই ফের স্বমহিমায় ফিরলেন চাষিরা। বুধবার সাত সকালেই উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমানায় ব্যারিকেড সরিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। পাশাপাশি দিল্লির প্রায় সব সীমানায় ধর্নায় বসে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে রাজধানীতে ঢোকা-বেরনোর একাধিক রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ।
দিল্লি পুলিশের জানিয়েছে, কৃষক বিক্ষোভের জন্য নয়ডা-দিল্লি সীমানা বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ-দিল্লির মধ্যে যোগাযোগের এটাই মূল রাস্তা। এর ফলে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। যাত্রীদের এই চিল্লা রুট এড়িয়ে ডিএনডি বা কালিন্দি কুঞ্জ রুট ধরে যাতাযাতের পরামর্শও দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের জমায়েত রয়েছে এবং তাঁরা দিল্লির দিকে এগনোর চেষ্টা করছেন।
দিল্লি হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানার পরিস্থিতিও একই রয়েছে। সেখানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বন্ধ যান চলাচল। এ ছাড়া টিকরি, ঝারোদা ঝটিকারা সীমানাতেও কৃষকদের অবস্থান-আন্দোলনের জেরে বন্ধ রাস্তা করে দিয়েছে দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ। বাদুসরাই সীমানায় শুধুমাত্র বাইক চলাচলের অনুমতি রয়েছে। চিল্লা সীমানায় নয়ডা লিঙ্ক রোডের উপর গৌতম বুদ্ধ দ্বারের কাছে কৃষকদের আন্দোলনে বন্ধ যান চলাচল। এ ছাড়া পঞ্জাবে আন্দোলনের জেরে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল বা যাত্রা সংক্ষিপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বালিশ, বিছানা, ত্রিপল, অ্যাম্বুল্যান্স সঙ্গে নিয়ে দিল্লি অভিযানে কৃষকরা
আরও পড়ুন: ১৪৪-এর পাল্টা চাষিদের ২৮৮ ধারা