ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি: নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেও, আন্দোলন প্রত্যাহারের সময়ে কৃষকদের দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেননি— উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে এই অভিযোগ তুলে কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা আজ বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাল। আজ মোর্চা নেতারা বৈঠক করে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ নামক প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার মূল মন্ত্র হবে, ‘কৃষক-বিরোধী’ বিজেপিকে ভোট না-দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আহ্বান জানানো।
রাকেশ টিকায়েত, হান্নান মোল্লা, দর্শন পালের মতো কৃষক নেতারা আজ দিল্লিতে ঘোষণা করেছেন, তাঁরা উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি জেলা, ব্লক ও গ্রামে গিয়ে প্রচার করে চাষিদের কাছে বিজেপিকে ‘শাস্তি’ দিয়ে হারানোর আর্জি জানাবেন। এই আর্জি জানাতে চাষিদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি আবেদনপত্রও তৈরি করা হয়েছে। সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, গ্রামে গ্রামে এই প্রচারপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ‘কৃষক আন্দোলনের এক সিপাই’-এর তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হবে। তাতে লখিমপুর খেরির ঘটনা থেকে কৃষক আন্দোলনের সময় ৭০০ কৃষকের মৃত্যুর উল্লেখও থাকবে।
বিজেপিকে হারানোর আর্জি জানালেও কৃষক নেতাদের তরফে কাউকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানানো হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটেও সংযুক্ত কিসান মোর্চা বিজেপিকে হারানোর আহ্বান জানিয়ে প্রচার করেছিল। কৃষক নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লখিমপুর খেরির ঘটনায় যুক্ত অজয় মিশ্র টেনি এখনও মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। ফসলের দামের আইনি গ্যারান্টি, আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের মতো প্রতিশ্রুতিও পালন করা হয়নি।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েতের বক্তব্য, “উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা বিজেপি সরকারের কাছে উত্তর চাইছে। আমরা তাঁদের হয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করছি। আমরা চাই, বিজেপির কেউ প্রচারে এলে এই প্রশ্ন করুন।” উত্তরপ্রদেশে কৃষক নেতারা গিয়ে এ বিষয়ে বড় জনসভা করবেন। লখনউ, বারাণসী, গোরক্ষপুর-সহ উত্তরপ্রদেশের সাতটি শহরে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে।