নিজেদের আনা খাবার ভাগ বাঁটোয়ারা খাচ্ছেন বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষক নেতারা। ছবি: টুইটার থেকে
কৃষকদের মূল দাবি, তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবি থেকে কোনও ভাবেই যে তাঁদের টলানো যাবে না, তা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা। ফিরিয়ে দিলেন সরকারের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজ। বিজ্ঞান ভবনে ৩ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কার্যত সরকারের জলস্পর্শ করলেন না তাঁরা। বুঝুয়ে দিলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনও কিছু দিয়েই তাঁদের তুষ্ট করা যাবে না।
দিল্লির একাধিক সীমানা কার্যত অবরুদ্ধ করে দিয়ে টানা ৮ দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ১ ডিসেম্বরের বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলেনি। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ফের দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক চলছে। রয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং পঞ্জাবের সাংসদ ও মন্ত্রী সোম প্রকাশ। কৃষকদের পক্ষে রয়েছেন ৪০ জন নেতা। এই বৈঠকের ফাঁকেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে এমন কাণ্ডে কার্যত বিব্রত কেন্দ্রও।
সরকারের পক্ষ থেকে খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছিল কৃষকদের জন্য়। বৈঠকে যোগ দেওয়া নেতাদের সে কথা জানিয়েও দিয়েছিলেন সরকারি প্রতিনিধিরা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে বিজ্ঞান ভবনের অন্দরেই বের করলেন নিজের নিজের সঙ্গে আনা খাবার। সঙ্গে কাগজের প্লেটও নিজেদের। সেই খাবার খেয়েই আবার বসে পড়লেন বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বাধা না দিলে ৯ মাস আগেই উদ্বোধন হত সেতুর, বললেন মমতা
এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন, আন্দোলনকারীদের অনড় মনোভাব এতেই স্পষ্ট। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের সূত্রে খবর, সরকারের বন্দোবস্ত করা চা, কফি, বিস্কুট বা অন্য কোনও আপ্যায়নও তাঁরা গ্রহণ করেননি।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার, তুললেন আইন প্রত্যাহার করার দাবি
কী বার্তা দিলেন কৃষকরা। আন্দোলনের গোড়া থেকেই তাঁরা জানিয়ে এসেছেন, একমাত্র তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হলে তবেই আন্দোলন উঠবে, নচেৎ নয়। প্রথম দিনের বৈঠকে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কমিটি গড়ে কৃষকদের দাবিদাওয়া মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু তাতে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসেননি তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকেও সরকারের ‘আতিথেয়তা’ ফিরিয়ে কার্যত আরও কঠোর বার্তা দিলেন তাঁরা।