হাসপাতালে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই
কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে হিংসার ঘটনায় আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লির সুশ্রুত ট্রমা সেন্টার ও তীর্থরাম হাসপাতালে ভর্তি পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। খবর নেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই দিনের গোলমালে কমপক্ষে ৪০০ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত পুলিশকর্মীদের ছবিও দেখা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
অমিতের তাৎপর্যপূর্ণ এই কর্মসূচির মধ্যেই হামলাকারীদের খুঁজতে এখন তৎপর প্রশাসন। মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসা দীপ সিধু-সহ বেশ কয়েকজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে ‘লুক আউট নোটিস’ জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, লালকেল্লায় তাণ্ডব নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির দেশদ্রোহিতার ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, আলাদা করে লালকেল্লার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।
অন্য দিকে, কৃষক আন্দোলনের মাথা রাকেশ টিকায়েতের নামে গাজিপুর সীমানায় নোটিস ঝুলিয়েছে পুলিশ। সেই নোটিসে ৩ দিনের মধ্যে হামলাকারীদের নাম পুলিশের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রশ্ন করেছে, কেন রাকেশের মতো আরও বেশ কয়েকজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না? পাশাপাশি, একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। দেখা গিয়েছে, লালকেল্লা এলাকার মধ্যে একটি বাস ভাঙচুর করছেন প্রতিবাদীরা। সেই ভিডিও প্রকাশ করে আন্দোলনের গতিপথ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ।
খবর পাওয়া গিয়েছে, তৎপর যোগী প্রশাসন ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে কৃষকদের ধর্না তুলে দিয়েছে। চিল্লা, নয়ডা, বদায়ূঁ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। পুলিশ জানিয়েছে, সামান্য কথাতেই কৃষকরা এলাকা খালি করে দিয়েছেন।