Farmers Protest

এফআইআরে নাম, বেপাত্তা লালকেল্লা হামলায় মূল অভিযুক্ত দীপ সিধু

এই পঞ্জাবি অভিনেতা মঙ্গলবারের হিংসার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর নেতৃত্বেই লালকেল্লার তাণ্ডব হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক নেতারাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:৫১
Share:

দীপ সিধু। ছবি— টুইটার।

খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় তাণ্ডবের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত দীপ সিধুকে। এই পঞ্জাবি অভিনেতা মঙ্গলবারের হিংসার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। বুধবার লালকেল্লায় হিংসার ঘটনার দু’টি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বাইকে করে পালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে দীপকে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের কমিশনারও জানিয়েছেন, এই হিংসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁরা ছাড় পাবেন না। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় এখনও অবধি ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে দীপের নামও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

হিংসার ঘটনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন দীপ। তাঁর নেতৃত্বেই লালকেল্লার তাণ্ডব হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক নেতারাও। এমনকি দীপের বিজেপি ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিও গত দু’দিনে সামনে এসেছে। সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতৃত্ব এই হিংসার জন্য দীপই মূল অভিযুক্ত। তাঁকে আরএসএস-এর এজেন্ট বলেও তোপ দেগেছেন কৃষক নেতৃত্বের একাংশ। আপের তরফে রাঘব চড্ডা বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর সঙ্গে দীপের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন। দীপ নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর সদস্য বলেও জানা গিয়েছে।

কৃষকদের এক সূত্রের খবর, দীপ এই আন্দোলনের পুরোভাগে থাকার চেষ্টা করছিলেন প্রথম থেকেই। কিন্তু কৃষক নেতারা বিরোধিতা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যখন হিংসায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠছে তখন ফেসবুকে লাইভে দেখা গিয়েছে দীপ দাবি করছেন, ‘‘লালকেল্লার নিশান সাহিবে পতাকা উত্তোলন করেছি আমরা। দেশের পতাকা সরানো হয়নি সেখান থেকে।”

Advertisement

অভিনেতা থেকে কৃষক আন্দোলনে নাম লেখানো দীপ প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কয়েক মাস আগে। হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমানায় পটিয়ালাতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কথা তুলেছিলেন। এর পর ১০ ডিসেম্বর একটি ফেসবুক লাইভে ‘কমিউনিস্ট ইউনিয়ন’কে দায়ী করেছিলেন আন্দোলনকে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য। এই আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে বেশ কিছু বামপন্থী সংগঠনও রয়েছে। তাঁদেরকে নিশানা করে এ কথা বলেছিলেন দীপ। সমস্যা মেটাতে মধ্যপন্থার কথা বলে সে বারও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এ বারও লালকেল্লায় তাণ্ডব ঘিরে অভিযোগের তির তাঁর দিকে। সেই পরিস্থিতিতেই বুধবার সারাদিন দেখা মেলেনি দীপের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement