Unnao

‘স্বপ্নাদেশে’ বিগ্রহ! অনলাইনে ১৬৯ টাকায় মূর্তি কিনে গ্রামবাসীদের ঠকানোর চেষ্টা বাবা-ছেলের

কৃষক এবং তাঁর ছেলেরা ভেবেছিলেন যে, গ্রামবাসীদের যদি কোনও ভাবে বিশ্বাস করানো যায়, বিগ্রহটি সত্যিই ‘স্বপ্নাদেশে’ পাওয়া তা হলে তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। জমিতে একটি মন্দির বানাবেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:২৬
Share:

গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ধৃত বাবা-ছেলে। প্রতীকী ছবি।

দেব-দেবীর প্রতি গ্রামবাসীদের বিশ্বাসকে হাতিয়ার করে এক কৃষক এবং তাঁর দুই ছেলে প্রতারণার ফন্দি এঁটেছিলেন। অনলাইনে ১৬৯ টাকা দিয়ে একটি বিগ্রহ কিনেছিলেন। তার পর গ্রামবাসীদের সেই বিগ্রহ দেখিয়ে দাবি করেন, এটি ‘স্বপ্নাদেশে’ পাওয়া।

Advertisement

কৃষক এবং তাঁর ছেলেরা ভেবেছিলেন যে, গ্রামবাসীদের যদি কোনও ভাবে বিশ্বাস করানো যায়, বিগ্রহটি সত্যিই ‘স্বপ্নাদেশে’ পাওয়া তা হলে তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। জমিতে একটি মন্দির বানাবেন। আর গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সেই সুযোগে টাকা লুটবেন। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের।

কিন্তু বাবা-ছেলেদের এই বুজরুকি ধোঁপে টেকেনি। গ্রামবাসীদের প্রায় বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছিলেন কৃষক অশোক রাজিরাজ এবং তাঁর দুই ছেলে রবি ও বিজয়। তাঁরা গ্রামবাসীদের কাছে দাবি করেন, বিগ্রহটি তাঁদের জমিতে মাটির নীচে ছিল। অশোক ‘স্বপ্নাদেশ’ পান যে, মাটির নীচ থেকে ওই বিগ্রহকে উদ্ধার করে ওখানে একটি মন্দির বানাতে হবে।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ায়, খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই তারা জানতে পারে, বিগ্রহটি জমির নীচে পাওয়া যায়নি। ‘স্বপ্নাদেশের’ দোহাই দিয়ে গ্রামবাসীদের ঠকানোর চেষ্টা করছিলেন অশোক ও তাঁর দুই ছেলে। তার পরই তিন জনকে প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement