Farmers Protest

নবম দফার বৈঠকও নিষ্ফলা, মোদীর হস্তক্ষেপ চান কৃষক নেতারা

আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের আরও এক দফা আলোচনার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:০০
Share:

শুক্রবার বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কৃষক নেতাদের বৈঠক। ছবি: পিটিআই

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত তিনটি কৃষক আইন। জট কাটাতে কমিটি গঠন করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেও নবম দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক নেতাদের আলোচনাতেও সমাধান হল না কৃষক আন্দোলনের। আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের আরও এক দফা আলোচনার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে ওই দিন থেকেই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করবেন। ফলে ১৯ জানুয়ারি বৈঠক হলে, সেটাই কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের মধ্যে হতে পারে শেষ বৈঠক।

Advertisement

দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে ৪০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা নবম বারের মতো শুক্রবার আরও এক দফা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু আগের আট দফার মতোই বৈঠক নিষ্ফলা। কৃষক নেতাদের বক্তব্য, কোনও মধ্যস্থতাকারী নয়, তাঁরা সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চান। এই সরাসরি বলতে প্রধানমন্ত্রীকেই ইঙ্গিত করেছেন কৃষক নেতারা।

সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকে এর বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলি একত্রিত করে শুনানি চলছে। শেষ দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনটি আইন স্থগিত রাখতে হবে। পাশাপাশি কৃষক এবং সরকারের মধ্যে আলোচনা ও মধ্যস্থতার জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্র।

Advertisement

আরও পড়ুন: শতাব্দীকে আটকাতে তৎপর তৃণমূল, ফোন করতে পারেন মমতা, বললেন সৌগত

আরও পড়ুন: বঙ্গে বাড়ল ২০ লাখের বেশি ভোটার, আগামী সপ্তাহে রাজ্যে হয়তো কমিশনের ফুল বেঞ্চ

ওই কমিটি গঠনের পরেই অবশ্য কৃষক নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ওই কমিটির তাঁরা মানবেন না। কারণ ইতিমধ্যেই তাঁরা কৃষক আইন সমর্থন করে কেন্দ্রের পক্ষে বয়ান দিয়েছেন। অন্য দিকে ওই চার সদস্যের মধ্যে বৃহস্পতিবারই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের প্রধান ভুপেন্দ্র সিংহ মান।

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেন, ‘‘তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরিকল্পনা তৈরি করুক এবং কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দিক।’’ জট কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement