Shraddha Walker murder case

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে নতুন তথ্য পেল পুলিশ, ১৫ দিন আগে বাবা-মাকে সরিয়ে দেন আফতাব?

দিন পনেরো আগে সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ওই পরিবার। সাহায্য করতে ভাসাই গিয়েছিলেন খোদ আফতাব। দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। কেন হঠাৎ এত বছরের পুরনো ঠিকানা ছেড়ে চলে গিয়েছিল পুনাওয়ালা পরিবার?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫১
Share:

লিভ-ইন সঙ্গীকে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করেছেন বলে অভিযোগ। — ফাইল ছবি।

গত ২০ বছর ধরে মুম্বইয়ের অদূরে ভাসাইয়ের এক আবাসনে থাকত শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার পরিবার। দিন পনেরো আগে সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ওই পরিবার। সাহায্য করতে ভাসাই গিয়েছিলেন খোদ আফতাব। দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। কেন হঠাৎ এত বছরের ঠিকানা ছেড়ে চলে গিয়েছিল পুনাওয়ালা পরিবার, তা-ও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

Advertisement

লিভ-ইন সঙ্গীকে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করেছেন বলে অভিযোগ। খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে, জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আদতে ভাসাইয়ের বাসিন্দা আফতাবের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শেষ বার যখন বাড়ি এসেছিলেন তরুণ, তখন ‘বেশ স্বাভাবিক’ ছিলেন। তাঁরা এ-ও দাবি করেছেন, যে অতীতে বেশ কয়েক বার শ্রদ্ধা এসেছিলেন আফতাবের বাড়িতে।

ভাসাইয়ের ওই আবাসনের চেয়ারম্যান রামদাস কেওয়াত বলেন, ‘‘গত ২০ বছর ধরে এই আবাসনে থাকে আফতাবের পরিবার। তিনি এখানে বড় হয়েছেন। আমরা হতবাক।’’ আফতাবের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, আফতাবের বাবা মুম্বইতে কর্মরত। তাঁরা কেন ওই আবাসন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন করেছিলেন প্রতিবেশীরা। তখন আফতাবের বাবা জানিয়েছিলেন, তিনি সপরিবারে মুম্বই চলে যাচ্ছেন।

Advertisement

ওই আবাসনের সচিব আবদুল্লা খান বলেন, ‘‘আফতাবের ছোট ভাই মুম্বইতে সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন। আমি জিজ্ঞেস করি, আবাসন ছেড়ে কেন আপনারা চলে যাচ্ছেন? আফতাবের বাবা বলেছিলেন, তিনি এবং ছোট ছেলে মুম্বইতে চাকরি করছেন। তাই সেখানে থাকাই সুবিধাজনক।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবও চাকরি করতেন মুম্বইয়ের এক কল সেন্টারে। সেখানে চাকরি করার সময়ই একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এর পর দু’জনে একই কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন। শ্রদ্ধার পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান। গত এপ্রিলের শেষে দু’জনে দিল্লি গিয়ে লিভ-ইন শুরু করেন। ১৮ মে ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার গলা টিপে খুন করেন আফতাব বলে অভিযোগ। গত শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পর দোষ স্বীকার করেছেন আফতাব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement