লকডাউনের সময় মেটিয়াবুরুজে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে দাবি করে এমনই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কী তথ্য ছড়িয়েছে:
একটি ভিডিয়ো যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ এবং পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি করছে ক্ষিপ্ত জনতা। কোনও মতে জিপে চড়ে পালাচ্ছে পুলিশ। পিছনে কাতারে কাতারে মানুষ। ভিডিয়োটি ছড়ানো হয়েছে এই বলে যে এই ঘটনা লকডাউনের মাঝে কলকাতা বন্দর এলাকার মেটিয়াবুরুজে ঘটেছে।
কোথায় ছড়িয়েছে:
ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে শেয়ার করা হয় ভিডিয়োটি। এই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে হোয়াটসঅ্যাপেও।
এই তথ্য কি সঠিক?
না, সঠিক নয়। এই ভিডিয়ো আদৌ কলকাতার মেটিয়াবুরুজের নয়।
সত্য কী এবং আনন্দবাজার সেটা কী ভাবে যাচাই করল:
গত উনিশে ডিসেম্বর আমদাবাদের শাহ-ই-আলম এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হন। ভিডিয়োটি সেই ঘটনারই, মেটিয়াবুরুজের নয়।
গত দু’দিন ধরে এই ভিডিয়োটিকে মেটিয়াবুরুজের ঘটনা বলে অনেকে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করছেন। যদিও পরে ফেসবুক বেশ কিছু মুছে দেয়।
আদতে গত ১৯ ডিসেম্বরে দেশ গুজরাত নামে একটি গুজরাতি পোর্টাল টুইট করেছিল এই ভিডিয়োটি। ভিডিয়োর এগারো সেকেন্ডে পজ করলে ফেমাস চিকেন সাপ্লায়ারস বলে একটি দোকানের ছবি ধরা পড়ে।
আমরা গুগ্ল করে দেখি দোকানটি আমদাবাদের শাহ আলাম রোডে অবস্থিত। এখান থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় গতকাল শেয়ার হওয়া ওই ভিডিয়ো মোটেই মেটিয়াবুরুজের নয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আমদাবাদের এই ভিডিয়োটিকে টুইটারে অনেকে শেয়ার করেছিলেন এই দাবি করে যে এটি নয়াদিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ঘটনা।
হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুক, টুইটারে যা-ই দেখবেন, তা-ই বিশ্বাস করবেন না। টুক করে শেয়ারও করে দেবেন না। বিশেষত এই আতঙ্কের মধ্যে তো নয়ই। এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর। যাচাই করুন। কোনও খবর, তথ্য, ছবি বা ভিডিয়ো নিয়ে মনে সংশয় দেখা দিলে আমাদের জানান এই ঠিকানায় feedback@abpdigital.in।