Deer spotted in Puri

জনহীন পুরীর সৈকতে মনের আনন্দে ছুটে বেড়াচ্ছে হরিণ! সত্যি না মিথ্যে?

পুরীর সমুদ্র সৈকতে খেলা করছে একটি হরিণ, দাবি করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো

Advertisement

ঋত্বিক দাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৩৮
Share:

পুরীর সমুদ্র সৈকতে খেলা করছে একটি হরিণ, দাবি করে ফেসবুকে ভাইরাল এই ভিডিয়ো

কী ছড়িয়েছে?

Advertisement

১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি হরিণ সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা করছে। ভিডিয়োর বিবরণে বলা হয়েছে, ‘‘সাধারণত এই এই ধরনের হরিণ পুরীর সমুদ্র সৈকতে দেখা যায় না। পুরী থেকে কোণার্ক যাওয়ার পথে এই হরিণের দেখা পাওয়াটা যদিও স্বাভাবিক। কিন্তু লকডাউনের পর এমনই একটি হরিণকে পুরীর সমুদ্র সৈকতে দেখা যাচ্ছে।’’

কোথায় ছড়িয়েছে?

Advertisement

ফেসবুক, টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়োটি।

ফেসবুক এবং টুইটারে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার হয়েছে এই ভিডিয়ো

এই তথ্য কি সঠিক?

পুরী ও কোণার্কের মাঝে রয়েছে বালুখণ্ড অভয়ারণ্য। পুরী থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে ৮৭ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই অভয়ারণ্যে ব্ল্যাক বাক এবং চিতল হরিণের খোঁজ মেলে। কিন্তু এই ভিডিয়োটি সেখানকার তো নয়ই, পুরীরও নয়।

সত্যি কী এবং আনন্দবাজার কী ভাবে তা যাচাই করল?

ভিডিয়োটি বছর পাঁচেকের পুরনো, এক ফরাসি ফিল্ম নির্মাতার তোলা। আমরা ‘deer sea beach video’ লিখে গুগ‌্‌লে সার্চ করি। গুগ্‌লে ওই একই ভিডিয়োর একাধিক ইউটিউব লিঙ্ক পাওয়া যায়, যেগুলি ২০১৫ সালে আপলোড করা। তারই একটি বিবরণে লেখা, ভিডিয়োটি দক্ষিণ ফ্রান্সে অ্যান্টনি মার্টিনের তোলা।

২০১৫ সালে ইউটিউবে আপলোড হয় ভিডিয়োটি

এর পর আমরা অ্যান্টনি মার্টিনের তোলা হরিণের ভিডিয়োর খোঁজ করতে গিয়ে পেয়ে যাই আসলটির হদিশ। ইউটিউবে তিনি নিয়মিত বণ্যপ্রাণ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিয়ো আপলোড করেন। মূলত ফ্রান্সের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে তিনি ভিডিয়ো তোলেন।

আসল ভিডিয়োটি ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল। ভিডিয়োটি ২ কোটি ২০ লক্ষ বার দেখা হয়। শেয়ার হয় ৬ লক্ষ ৮০ হাজার বার। ভিডিয়োটির পারফরম্যান্স দেখে বিবরণে তিনি লিখেছিলেন, একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমার চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তিনি হরিণটির ওই ভিডিয়োটি তোলেন। ভিডিয়োটি এত মানুষের পছন্দ হওয়ায় তিনি অভিভূত। ফলে ভিডিয়োটি পুরীর নয় এবং লকডাউন পরবর্তী সময়েরও যে নয় তা বোঝাই যাচ্ছে। ‘‘লকডাউনের পর প্রকৃতি নিজের হারানো জায়গা পুনর্দখল করছে...’’ বলে ছবি, ভিডিয়ো শেয়ার করার হিড়িক উঠেছে। সত্যি, মিথ্যা দেখার প্রয়োজন বোধ করছেন না কেউ। এই ভিডিয়োটিও সে ভাবেই ভাইরাল হয়।

হোয়াটস‌্অ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারে যা-ই দেখবেন, তা-ই বিশ্বাস করবেন না। শেয়ারও করে দেবেন না। বিশেষত এই আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় তো তো নয়ই। এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর। যাচাই করুন। কোনও খবর, তথ্য, ছবি বা ভিডিয়ো নিয়ে মনে সংশয় দেখা দিলে আমাদের জানান এই ঠিকানায় feedback@abpdigital.in

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement