আদালতে গেল টুইটার।
কৃষক বিক্ষোভ, কোভিড অতিমারি সংক্রান্ত বেশ কিছু টুইট ‘ব্লক’ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টে গেল টুইটার। তাদের দাবি, কেন্দ্রের কিছু নির্দেশ অযৌক্তিক। সে সবের বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছে টুইটার। তবে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, আইন মানতেই হবে।
টুইটারের তরফে একটি আবেদনে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের করা পোস্ট ‘ব্লক’ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই ধরনের নির্দেশ বাক্স্বাধীনতার পরিপন্থী। মঙ্গলবার পিটিশন দায়ের করে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণই করছে টুইটার।
গত জুনে টুইটারকে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, কেন্দ্রের নির্দেশের পরেও নির্দিষ্ট কিছু ‘কনটেন্ট’ ব্লক না করে অসহযোগিতা করছে টুইটার। এ নিয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে সংস্থার কর্তাদের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যায় টুইটার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতে সকলের, এমনকি, বিদেশি নেটমাধ্যমেরও আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্ত মধ্যস্থতাকারী বা সংস্থা এ দেশের আইন মানতে বাধ্য।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ‘‘সামাজিক মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গোটা দুনিয়াতেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বার তাদের কাছ থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার সময় এসেছে।’’