কনকপ্রভাদের কাহিনি দিল্লির মেট্রো স্টেশনে 

কনকপ্রভা লিখেছেন, ‘‘শুনেছিলাম কলকাতা লোকারণ্য। কিন্তু শেয়ালদা স্টেশনে এসে দেখি কোথায় কী। গোটা শহরটা যেন ধূ-ধূ করছে। দাঙ্গায় থমকে গিয়েছিল সে দিনের কলকাতা।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশ ভাগের পরেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুন্সিগঞ্জে থেকে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পঞ্চাশের দশকে বরিশাল, সিলেট, রাজশাহিতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তুঙ্গে পৌঁছনোয় আর টেঁকা গেল না। প্রায় এক বস্ত্রে সপরিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে গোয়ালন্দঘাটে পৌঁছন কনকপ্রভা মজুমদার। তার পরে দয়ালু এক পুলিশ অফিসারের সহায়তায় কলকাতায়। কনকপ্রভা লিখেছেন, ‘‘শুনেছিলাম কলকাতা লোকারণ্য। কিন্তু শেয়ালদা স্টেশনে এসে দেখি কোথায় কী। গোটা শহরটা যেন ধূ-ধূ করছে। দাঙ্গায় থমকে গিয়েছিল সে দিনের কলকাতা।’’

Advertisement

কনকপ্রভার মতো অনেক নারী, বিপদ মাথায় করে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন, তাঁদের ছবি-সহ দেশ ভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হয়েছে রাজধানীর মান্ডি হাউস মেট্রো স্টেশনে। বিষয়— ‘দেশ ভাগের সময়ে নারীরা’।

দিল্লি এবং ক্যালিফোর্নিয়ার যৌথ প্রয়াসে তৈরি ‘১৯৪৭— পার্টিশন আর্কাইভ’ এই প্রদর্শনীর জন্য প্রথমে দিল্লির রেল স্টেশনকেই বেছে নিতে চেয়েছিল। কারণ দেশ ভাগে রেলের ভূমিকাকে ফিরে‌ দেখা। কিন্তু কিছু সমস্যা থাকায় বেছে নেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনকে, নিত্যযাত্রীরা যাতে এক মুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ান সেই বেদনাদায়ক ইতিহাসের সামনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement