প্রীতি সুদান। — ফাইল চিত্র।
এ বার ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সন নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সূদন। আগামী ১ অগস্ট থেকে বিদায়ী চেয়ারপার্সন মনোজ সোনির স্থানে যোগ দেবেন তিনি।
প্রীতি ১৯৮৩ ব্যাচের অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস অফিসার। ২০২০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব হিসাবে কাজ করেছেন। কোভিড অতিমারি পর্বে তাঁর কাজ নানা মহলে প্রশংসা পেয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর ছাড়াও প্রীতি কাজ করেছেন খাদ্য ও গণ সরবরাহ, নারী ও শিশু উন্নয়ন, এমনকি প্রতিরক্ষার মতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে। কেন্দ্র সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এ বার সেই প্রীতিই আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ইউপিএসসিতে নতুন পদে দায়িত্ব নিতে চলেছেন।
পূর্ববর্তী চেয়ারপার্সন আচমকা ইস্তফা দেওয়ার পর প্রীতিকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম প্রস্তাব করে ইউপিএসসি সচিব শশীরঞ্জন কুমারকে চিঠি দিয়েছিলেন অতিরিক্ত সচিব মনোজকুমার দ্বিবেদী। বুধবার এই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের পর নিশ্চিত হয়েছে প্রীতির নিয়োগ। জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত, অথবা ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন প্রীতি।
প্রীতির আগে ইউপিএসসি বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন মনোজ সোনি। তিনি ২০২৩ এর মে মাসে চেয়ারপার্সন পদে যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পণ্ডিত হিসাবে সুপরিচিত মনোজ তার আগে গুজরাতের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন অন্তত ৯ বছর। এর মধ্যে বরোদার মহারাজা সওয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উপাচার্য হিসাবে আসেন ২০০৫ সালে। সেই সময়ে মনোজই ছিলেন দেশের সবচেয়ে কমবয়সি উপাচার্য। সম্প্রতি দেশের এক শিক্ষানবিশ আমলার বিরুদ্ধে পরীক্ষায় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আইএএস হওয়ার অভিযোগ ওঠার দিন কয়েকের মধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মনোজ। সূত্রের খবর, মনোজের ইস্তফার সঙ্গে ইউপিএসসিতে নিয়োগে গাফিলতির কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি, এখনও পাঁচ বছর কাজের মেয়াদ বাকি আছে তাঁর। কিন্তু সেই মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মনোজ। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।