‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রঘুরাম রাজন। ছবি পিটিআই।
এ বার কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার শরিক হলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। বুধবার রাজস্থানে রাহুল গান্ধী-সহ অন্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ নিয়ে কংগ্রেস এবং রাজনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় টুইট করে রাজনকে ‘কংগ্রেস নিযুক্ত ব্যক্তি’ বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি ভবিষ্যতের মনমোহন সিংহ হতে চাইছেন বলেও দাবি করেছেন অমিত।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২৩তম গভর্নর হিসাবে রাজনের কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। তারপর তিনি আমেরিকায় অধ্যাপনার কাজে চলে যান। কিন্তু বিমুদ্রাকরণ-সহ মোদী সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। অর্থনীতিবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনের সমালোচনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুঁজতে রাহুল লকডাউনের সময় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে যে ভার্চুয়াল আলোচনায় বসেছিলেন, সেই আলোচনায় দেখা গিয়েছিল রাজনকে।
আজ সে সবের সূত্রেই রাজনকে কংগ্রেসের লোক বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা চালায় বিজেপি। দাবি করা হয়, বিশ্বের কাছে দেশের অর্থনীতিকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপিত করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এই গভর্নর। তিনি সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিলেন কি না, সে প্রশ্নও তোলা হয় বিজেপির তরফে। কর্নাটকের বিজেপি নেতা সিটি রবি টুইট করে লেখেন, “অনেক মুক্তমনার চোখে তিনি বড় অর্থনীতিবিদ হলেও আসলে রঘুরাম রাজন গান্ধী পরিবারের থেকে নেওয়া ধার চোকাচ্ছেন।”
রাজন ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস শিবির অবশ্য উচ্ছ্বসিত। বুধবারই দলের টুইটার অ্যাকাউন্টে রাহুলের সঙ্গে রাজনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। এর আগেও কংগ্রেসের এই আসমুদ্রহিমাচল পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর, অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর প্রমুখ। এ বার এই তালিকায় যুক্ত হল রঘুরামের নাম।