(বাঁ দিকে) মৃত আইনি পড়ুয়া তাপস। ঘটনাস্থলে পুলিশ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। শুধু তা-ই নয়, কেউ যদি সম্পর্ক জোড়া লাগানোর বিষয় অস্বীকার করেন, সেই বিষয়টিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় না বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের। আর তার পরই নয়ডার আইনি ছাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।
গত শনিবার নয়ডার একটি আবাসনের আট তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাপস নামে আইনের এক ছাত্রের। তাঁর মৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন এবং সন্দেহ উঠে আসে। অভিযোগের আঙুল ওঠে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার বিরুদ্ধে। প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আদালতে তাঁকে পেশ করা হলে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাপস। কিন্তু তাঁর প্রেমিকা সেই সম্পর্ক ফিরে আসতে নারাজ ছিলেন। তাপসের বন্ধুরাও তাঁর প্রেমিকাকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। তার পরই আইনি ছাত্রের মৃত্যু হতেই প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আদালতে পুলিশ এই বিষয়টিকে তুলে ধরে। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় না। তার পরই তাপসের প্রেমিকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়।
সূত্রের খবর, তাপস এবং তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা দু’জনেই একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। তাঁরা একসঙ্গে থাকাও শুরু করেন। সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হয়। তার পরই তাপসের প্রেমিকা তাঁদের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গাজ়িয়াবাদে থাকতেন তাপস। শনিবার নয়ডায় এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর প্রেমিকাকেও ডাকা হয়। সেখানেও বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা হয়। তাতেও কোনও লাভনা হওয়ায় আট তলা থেকে ঝাঁপ মারেন তাপস। এর পরই তাপসের পরিবার তাঁর প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। তার পরই গ্রেফতার করা হয় তাপসের প্রেমিকাকে।