ছবি সংগৃহীত
রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ, জেলায় বন্ধ ঘোষণা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংবেদনশীল হয়ে থাকার জেরে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দরং জেলার সিপাঝারে গরুখুঁটির উচ্ছেদ অভিযান আপাতত এক দিনের জন্য বন্ধ রাখল অসম সরকার। কিন্তু গোটা ঘটনাকে অসমিয়া বনাম অনুপ্রবেশকারীর লড়াইয়ের চেহারা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার পক্ষ। অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে অসমের বিজেপি সরকারকে বিঁধেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মইনুল হক নামে এক প্রতিবাদকারীর মৃত্যুর ভিডিয়োর জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে অসম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, ‘‘৩০ সেকেন্ডের একটা ভাইরাল ভিডিয়ো দিয়ে গোটা ঘটনার বিচার করা ঠিক নয়। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে, পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তে সকলের একমত হওয়ার পরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু যে এলাকায় কেবল ৬০টি ঘরের বাসিন্দারা থাকেন সেখানে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জেরেই হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করা হয়েছিল। সরকার চুপ করে বসে থাকলে এরা এক সময়ে শিবমন্দির দখল করবে, পরে শঙ্করদেবের জন্মস্থান বটদ্রবাও দখল করে নেবে। তা হতে দেওয়া যায় না। সরকার কড়া না হলে অসমিয়ার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।’’ সিপাঝারে পুলিশি অভিযান নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘এনআরসির সময় কত মানুষকে মেরেছে। আবার এত মানুষকে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে মেরে তাঁদের দেহের উপর নাচছে! বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে লজ্জা করে না? বাংলায় মায়েদের, বোনেদের রাস্তায় বেরোতে কারও অনুমতি নিতে হয় না। ভাইয়েরাই তাঁদের রক্ষা করে।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বাস্তুদের কলোনি তৈরি করেছে। সেই উদ্বাস্তুরা পুলিশের উপরে হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ কি ভিন্ দেশের মানুষের কাছে মার খাবে। আত্মরক্ষায় যা করা উচিত তাই করেছে পুলিশ।" নিহত মইনুলের বাবার প্রশ্ন, সরকার তাঁদের বাংলাদেশি মনে করলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে না কেন?