লাদাখ নিয়ে অমিত শাহকে (ডান দিকে) কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। —ফাইল চিত্র
লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা মোতায়েন নিয়ে এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। গতকাল রবিবার বিহারের জন্য ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, আমেরিকা এবং ইজরায়েলের পরে ভারত তৃতীয় দেশ, যার সীমান্ত সবচেয়ে সুরক্ষিত। তাই নিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ করে রাহুলের টুইট, ‘‘সীমান্তে বাস্তবিক কী পরিস্থিতি তা সবাই জানেন।’’
রবিবার বিহারের জন্য একটি ভার্চুয়াল নির্বাচনী জনসভা করেন অমিত শাহ। সেই সভায় তিনি বলেন, ‘‘ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি সারা বিশ্বে স্বীকৃত। বিশ্ববাসী মেনে নিয়েছে যে, আমেরিকা ও ইজরায়েলের পরে যদি কেউ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারে, তাহলে সেই দেশ হল ভারত।’’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উরি ও পুলওয়ামা হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইক দেখিয়ে দিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি কতটা শক্তিশালী।
অমিতের সভার পরের দিনই এই নিয়ে সরব হলেন রাহুল গাঁধী। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ে অমিত শাহের এই সংক্রান্ত টুইটে রাহুল হিন্দিতে লিখেছেন, ‘‘সবাই জানেন সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতি কী।’’ উর্দু কবি মির্জা গালিবের পংক্তি থেকে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘হয়তো মনকে খুশি রাখার এই প্রচেষ্টা ভাল।’’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৯৮৩, মোট আক্রান্তে শুধু মহারাষ্ট্রই টপকে গেল চিনকে
আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে আইসোলেশনে কেজরীবাল, কোভিড টেস্ট মঙ্গলবার
মে মাসের গোড়ার দিকে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন শুরু করে চিন। জবাবে ভারতও বিপুল সেনা মোতায়েন শুরু করে। তার পর থেকেই এই সীমান্ত উত্তেজনা ঘিরে নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কেও টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সীমান্ত জট কাটাতে শনিবারই দু’দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাতে আলোচনার মাধ্যমে জট কাটাতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশই। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আপাতত শান্তি থাকলেও লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সহজে মিটবে না। এমনকি, ডোকলামের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সেই আশঙ্কার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল।