—প্রতীকী ছবি।
জামিন হচ্ছে নিয়ম, জেল ব্যতিক্রম। এমনকি, ইউএপিএ মামলাতেও কথাটা প্রয়োজ্য বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
পটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে বানচাল করার একটি মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময়ে আজ এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্ত জালালউদ্দিন খান তাঁকে জামিন না দেওয়ায় পটনা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। জালালউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) প্রশিক্ষণের জন্য তিনি বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। এই মামলায় বিচারপতি অভয় ওকা ও বিচারপতি আগস্টিন জর্জ মসীহের বেঞ্চ আজ বলেছে, ‘‘যখন জামিন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকবে, সেই ব্যাপারে আদালতের দ্বিধা থাকা উচিত নয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়তো গুরুতর, কিন্তু আদালতের দায়িত্ব আইন মেনে সেই মামলায় জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা।’’
বিচারপতি ওকা তাঁদের নির্দেশ পড়ার সময়ে বলেন, ‘‘জামিন হচ্ছে নিয়ম, জেল হল ব্যতিক্রম। বিশেষ আইনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। যেখানে জামিন অনুমোদন করা সম্ভব, আদালত যদি তা মঞ্জুর না করে, তা হলে তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১-এ দেওয়া অধিকারের বিরোধী হয়ে পড়ে।’’ বিচারপতিরা জানান, বর্তমান মামলাটিতে জামিন দেওয়ার শর্ত কঠিন হলেও আইন অনুমোদন করলে জামিন দেওয়া যেতেই পারে।
আবেদনকারী জালালউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীর বিহার সফর বানচাল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তুলে ধরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর ভাড়া দেওয়া বাড়িতে পুলিশি অভিযানে নথিও মিলেছে। অভিযোগ, ২০২২-এর জুলাইয়ে পিএফআই-এর প্রশিক্ষণের জন্য খান তাঁর বাসভবনের দোতলার অংশটি অন্য অভিযুক্তকে ভাড়া দেন। জালালউদ্দিন জানান, বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন ঠিকই, তবে এই ধরনের পরিকল্পনার কথা জানতেন না। তদন্তকারীদের দাবি, বিহারের বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিরা প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিল। এই কর্মসূচি সিমি-র পুরনো সদস্যদের যোগ দেওয়ানো ও পিএফআই-এর নতুনদের সংগঠনে যোগ দেওয়ানোর পরিকল্পনার অংশ ছিল। জালালউদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি পিএফআই বা অন্য নিষিদ্ধ সংগঠনের অংশ নন, শুধু নিজের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। ফলে এই মামলায় তাঁর ভূমিকা সীমিত। তবে গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে বিশেষ আদালত জালালউদ্দিন ও সহ অভিযুক্ত আথার পারভেজের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। পটনা হাই কোর্টেও জামিন পাননি জালালউদ্দিন।