রামদাস আঠওয়লে।
ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের জমানায় নিরাপদে নেই বিজেপির শরিক দলের নেতাও! কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী রামদাস আঠওয়লে-র তরফে পাঠানো এক চিঠিতে এমনই বিষয় উঠে এসেছে। যাকে ঘিরে নতুন চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে।
মন্ত্রী আঠওয়লে এনডিএ-র শরিক রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া (আরপিআই)-র কেন্দ্রীয় সভাপতি। তাঁর নির্দেশে তাঁর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) ত্রিপুরার পুলিশ প্রধানকে এক চিঠিতে আরপিআইয়ের রাজ্য সভাপতি সত্যজিৎ দাসের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আঠওয়লে-র অভিযোগ, আরপিআইয়ের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি সত্যজিৎ দাস সাংগঠনিক কাজে গিয়ে দফায় দফায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ১ ডিসেম্বর উদয়পুর থেকে খুমলুংয়ে যাওয়ার পথে জঙ্গিরা তাঁর পথরোধ করে। তারা একটি হুমকিপত্র পড়ে শোনায়। তাতে তাঁর কাজকর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানানো হয়। কয়েক মাস আগেও তাঁর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়৷ তিনি হাতে চোট পান। এর পরই মন্ত্রী আঠওয়লে-র নির্দেশে তাঁর এপিএস রাজ্যের পুলিশ প্রধানকে সত্যজিতের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান।
এই চিঠি বুধবার সকালে তৃণমূলের প্রদেশ আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর বক্তব্য, অ-বিজেপি সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা ত্রিপুরায় নিরাপত্তাহীন। এ কথা তাঁরা বারবার বলে আসছেন। পুলিশ বা প্রশাসন তা কানে তোলেনি। এ বার শাসক জোটের শরিকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। খোদ নরেন্দ্র মোদী সরকারেরই এক মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। সুবল সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতার নিরাপত্তার দাবি জানান।
বিজেপির প্রদেশ কমিটির মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, সত্যজিৎ দাসকে জঙ্গিদের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। আসলে কী ঘটেছিল, তা জেনে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলবেন। এর আগে তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর চিঠির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন সুব্রত।
রাজ্য পুলিশের জনসংযোগ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী (দু’জনের একই নাম) বলেন, “এমন চিঠি অনেকেই লেখেন। এটা কোনও বিষয় নয়। চিঠি পাওয়ার পর রাজ্য সরকার গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটিতে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুর নির্বাচনের সময় সুবল ভৌমিক নিজেও এই ধরনের চিঠি লিখেছিলেন এবং নিরাপত্তা রক্ষী পেয়েছিলেন বলে জানান পুলিশের জনসংযোগ অফিসার।