UGC

ভারতে উচ্চশিক্ষা ক্যাম্পাসে আগ্রহী আমেরিকা-ইউরোপ

ভারতে বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে জানুয়ারিতে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী খসড়া প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত চেয়েছিল ইউজিসি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৭
Share:

ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ফাইল চিত্র।

ভারতের জাতীয় সংহতির পরিপন্থী কোনও পাঠ্যক্রম চালানোয় নিষেধ-সহ শর্ত আছে বেশ কিছু। সেই সব শর্ত মেনে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সব থেকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রের খবর। ইউজিসি জানিয়েছে, ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে মে মাসে।

Advertisement

ভারতে বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে জানুয়ারিতে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী খসড়া প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত চেয়েছিল ইউজিসি। ওই সংস্থা সূত্রের খবর, সব থেকে বেশি প্রস্তাব-পরামর্শ এসেছে ইউরোপ-আমেরিকা থেকেই। এই অবস্থায় মে মাসে চূড়ান্ত নির্দেশিকা প্রকাশের আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলবে ইউজিসি। খসড়ায় জানানো হয়েছিল, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশে ক্যাম্পাস খুলতে চাইলে ইউজিসি-র অনুমোদন বাধ্যতামূলক এবং নিজেদের কার্যাবলি নিয়ে তারা ইউজিসি-র কাছে উত্তর দিতে বাধ্য থাকবে। বিদেশের ক্যাম্পাসের সমমানের শিক্ষা এখানেও দিতে হবে। সমমান বজায় রাখতে হবে ডিগ্রির ক্ষেত্রেও। এ দেশের ক্যাম্পাসে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা পড়ুয়া ভর্তি নিতে পারবে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে ফি নেওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা থাকলেও ফি-কাঠামো স্বচ্ছ ও যুক্তিযুক্ত হতে হবে। সম্পূর্ণ বা অর্ধেক মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে অভাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য। দেশ ও বিদেশ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা যাবে ঠিকই। তবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, নিজের দেশে তারা যে-যোগ্যতার শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করে থাকে, এখানেও সেই মান বজায় রাখা হবে।

ইউজিসি-র অন্যান্য শর্তের মধ্যে আছে, এ দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় কোনও অনলাইন বা দূরশিক্ষার পাঠ দিতে পারবে না। এমন কোনও পাঠ্যক্রম তারা চালাতে পারবে না, যাতে ভারতের জাতীয় সংহতি বিঘ্নিত হয়, বা ভারতে উচ্চশিক্ষার যে-মান প্রতিষ্ঠিত, তার ব্যত্যয় ঘটে। সারা বিশ্বের নিরিখে প্রথম ৫০০-য় থাকা অথবা নিজের দেশে অত্যন্ত সুনাম রয়েছে, এমন বিশ্ববিদ্যালয়ই এ দেশে ক্যাম্পাস খোলার আবেদন করতে পারবে। প্রাথমিক ভাবে তাদের ১০ বছর পাঠ্যক্রম চালানোর অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement