ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লি শহর। -ফাইল ছবি।
দীপাবলীর ছুটির পর যেন আর ধোঁয়াশায় ঢেকে না থাকে রাজধানী দিল্লি শহর। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ শুক্রবার একটি পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেছে।
রাজধানী শহরের বায়ুদূষণ কমাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দু’টি আর্জি জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। দিল্লি শহরে বায়ুদূষণ কমানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আদিত্য দুবে। এর আগে একই আর্জি জানানো হয়েছিল দিল্লির বায়ুদূষণ সংক্রান্ত এম সি মেটা মামলায়। সেই মামলাটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। এই দু’টি আর্জিরই শুনানি আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি রেখেছে এ দিন শীর্ষ আদালত।
ধোঁয়াশার গ্রাসে দিল্লি শহর। -ফাইল ছবি।
এ দিন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আদালত আবার খোলা পর্যন্ত আমরা শুনানি মুলতুবি রাখছি। একটা কথাই বলতে চাই, কেন্দ্রীয় সরকার যেন তত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়।’’
আরও পড়ুন- দেশে মোট আক্রান্ত ৮৪ লক্ষ ছাড়াল, সংক্রমণের হার ৪ শতাংশের কম
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারিতেই কি কোভ্যাক্সিন
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা কতটা তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এ দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান পরিবেশ রক্ষা করতে একটি কমিশন (এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন) ইতিমধ্যেই গড়া হয়েছে। তার সদস্যদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। আজ থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কমিশন কাজ শুরু করে দেবে।
আবেদনকারীদের তরফে সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ সিংহ এ দিন আদালতে জানান জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অথচ দীপাবলীর ছুটির সময় আদালত বন্ধ থাকার ফলে এই সমস্যা জটিলতর হয়ে উঠবে। তাই তিনি এ ব্যাপারে এ দিনই আদালতের নির্দেশের আর্জি জানান।
তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যেরর বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আমরা আদালত। কিন্তু যে কাজটার কথা বলছেন সেটা করা প্রশাসক ও আমলাদের দায়িত্ব। জরুরি ভিত্তিতে এই সমস্যা মেটানোর যা যা প্রয়োজন সেই অর্থ, ক্ষমতা, দক্ষতা ও লোকবল সব কিছুই ওঁদের রয়েছে।’’