প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের কোটায় আবারও আত্মহত্যা এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা। আর এ বছরের ১৪তম ঘটনা এটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম সন্দীপ। কোটার মহাবীর নগর থানা এলাকায় ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিহারের নালন্দার বাসিন্দা ছিলেন সন্দীপ। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
সন্দীপের দাদার দাবি, যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে ভাইকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিক এবং স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় সন্দীপের দেহ দেখতে পায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহাবীর নগর থানার আধিকারিক মহেন্দ্র কুমার মারু জানিয়েছেন, সন্দীপ বেসরকারি কোটিং সেন্টার থেকে জেইই-র প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিহার থেকে দু’বছর আগে কোটায় এসেছিলেন। দাদার সঙ্গে একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। সন্দীপের দাদাও নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপের বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাঁদের কাকাই পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছিলেন। বাড়ির মালিক মহেন্দ্র জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মেস থেকে খাবার খেয়ে এসেছিলেন সন্দীপ। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। তার পর সন্দীপ ঘরে চলে গিয়েছিলেন। সকালেও সন্দীপকে দেখে গিয়েছিলেন তাঁর দাদা। বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।