(বাঁ দিকে) ভোলে বাবা। হাথরসকাণ্ডে মৃতেরা (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র। ফাইল চিত্র।
নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের সঙ্গে হাথরসকাণ্ডের ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি ভোলে বাবাও নিট কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? যদিও পুলিশের দাবি, সে রকম কোনও প্রমাণ এখনও তাদের হাতে আসেনি।
রাজস্থান পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) ভিকে সিংহ জানিয়েছেন, রাজ্যের দৌসাতে প্রায়ই আসতেন ভোলে বাবা। সেখানে হর্ষবর্ধন মীনার বাড়িতে থাকতেন। শুধু তা-ই নয়, মীনার বাড়িতে ‘সৎসঙ্গে’রও আয়োজন করতেন। আর পুরো দায়িত্ব সামলাতেন মীনাই। ঘটনাচক্রে, দেশ জুড়ে নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, মীনা তাঁদের মধ্যে এক জন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই মীনাই নিটকাণ্ডের অন্যতম চক্রী।
এডিজি সিংহ বলেন, “রাজস্থানের একটি প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের ঘটনায় গত জানুয়ারিতে মীনার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে পৌঁছনোর আগেই ভোলে বাবা মীনার বাড়ি থেকে চম্পট দেন।” পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, মীনার বাড়ির সামনে ভোলে বাবার বড় বড় কাট আউট, পোস্টার, ব্যানার এখনও রয়েছে। এডিজি সিংহ জানিয়েছেন, হাথরসের ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসে, ভোলে বাবাকে দেখেই চিনতে পারে পুলিশ।
হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনার পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। এখনও হদিস পাওয়া যায়নি ভোলে বাবার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভোলে বাবাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তবে তাঁর সঙ্গে রাজস্থান যোগ, এমনকি প্রশ্নফাঁসের অন্যতম চক্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ, এই তদন্তে একটা নতুন মাত্রা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। তা হলে কি প্রশ্নফাঁসের ঘটনাতেও ভোলে বাবার কোনও যোগ রয়েছে? এই উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।
রাজস্থান পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৫ বছর ধরে প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দৌসার হর্ষবর্ধন মীনা। পাঁচশোরও বেশি পরীক্ষার্থীকে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবারও প্রশ্নফাঁসের চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল।
গত মঙ্গলবার হাথরসে ভোলে বাবার ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১২১ জনের (সংবাদসংস্থা পিটিআই মৃতদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে)।