বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে (বাঁ দিকে)। বেঁচে ফেরা ইঞ্জিনিয়ার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিনের মতো অফিস থেকে দুপুরে খেতে গিয়েছিলেন ক্যাফেতে। টেবিলে বসতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় মায়ের ফোন আসে। ক্যাফের ভিতরে কোলাহলের কারণে সেই ফোন ধরতে বাইরে বেরোতেই জোরালো বিস্ফোরণ হয়। আর কয়েক সেকেন্ড দেরি হলে আহত হতেন, এমনকি মৃত্যুও হতে পারত! কিন্তু মায়ের ফোনই যেন ‘ত্রাতা’ হিসাবে কাজ করেছিল। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিউরে ওঠেন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার কুমার অলঙ্কৃত।
শনিবার এক সংবাদমাধ্যমকে অলঙ্কৃত বলেন, “ভাগ্যিস মায়ের ফোন এসেছিল। তা না হলে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারত। মা ভগবান, শুক্রবার তা প্রমাণ পেলাম।” শুক্রবার রামেশ্বরম ক্যাফেতে দুপুরে খেতে গিয়েছিলেন অলঙ্কৃত। পটনার বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন তিনি। অলঙ্কৃতের কথায়, “অফিস থেকে বেরিয়ে ক্যাফেতে খেতে গিয়েছিলাম। ইডলি, দোসা অর্ডার দিয়ে টেবিলে বসার জন্য এগোতেই মায়ের ফোন এল। ক্যাফের ভিতরে কোলাহলের কারণে কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। তাই কথা বলার জন্য ক্যাফের বাইরে বেরিয়েছিলাম।”
অলঙ্কৃত এর পরই জানান, সবেমাত্র ক্যাফের বাইরে বেরিয়েছেন, তখনই কানফাটানো আওয়াজ। তার পরই চিৎকার, ছোটাছুটি, হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, “তখনও বুঝে উঠতে পারছিলাম না ঠিক কী ঘটেছিল। কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুনলাম বিস্ফোরণ হয়েছে।” ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, তিনি যেখানে টেবিলে বসতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কয়েক হাত দূরেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ক্যাফের ভিতরে তখন টেবিল, চেয়ার, খাবার সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
বসার জন্য যে জায়গাটি বেছে নিয়েছিলেন, সে দিকে তাকাতেই তাঁর শরীর হিম হয়ে এসেছিল। এমনটাই জানিয়েছেন অলঙ্কৃত। তাঁর কথায়, “এত জোর আওয়াজ হয়েছিল যে, কয়েক সেকেন্ডের জন্য কানে কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। দেখলাম, এক মহিলার হাত থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। ছুটে গিয়ে তাঁর হাত টিস্যু পেপার দিয়ে চেপে ধরেছিলাম। আরও এক মহিলার শরীর ঝলসে গিয়েছিল।”