Train Engine Theft

ট্রেনের আস্ত একটি ইঞ্জিন হাপিস করে দিল চোরেরা! মিলল বস্তার ভিতরে

ইঞ্জিন হাপিস হতেই খোঁজ পড়ে, কোথায় গেল সেটি। তদন্তে নেমেই পুলিশ চমকে ওঠে। তারা দেখে রেল ইয়ার্ডের খুব কাছেই একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৫০
Share:

মাস কয়েক আগে আস্ত একটি সেতুকে হাপিস করে দিয়েছিল চোরের দল। এ বার সেই তালিকায় জুড়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন। কয়েক দিনের মধ্যে ট্রেনের গোটা একটি ইঞ্জিনকে হাপিস করে দিয়েছে চোরেরা। ঘটনাস্থল সেই বিহার।

Advertisement

এ বছরের মে মাসে বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়ার গ্রামের একটি লোহার সেতুকে ধাপে ধাপে খুলে নিয়ে গিয়েছিল চোরেরা। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যে এ বার ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির ঘটনা ঘটল মুজফফরপুরে। শুধু ট্রেনের ইঞ্জিনই নয়, একটি সেতুর নাট-বোল্ট খোলাও শুরু করেছিল চোরেরা। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যায় তাদেরই কয়েক জন।

পুলিশ সূত্রে খবর, বারাউনির গরহরা রেলইয়ার্ডে একটি ভিনটেজ এবং ডিজেল ইঞ্জিন সারাইয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই ইয়ার্ড থেকেই প্রতি দিন রাতে একটু একটু করে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাচ্ছিল চোরেরা। কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা ডিজ়েল ইঞ্জিনটির যন্ত্রাংশ খুলে হাপিস করে দেয় তারা।

Advertisement

ইঞ্জিন হাপিস হতেই খোঁজ পড়ে, কোথায় গেল সেটি। তদন্তে নেমেই পুলিশ চমকে ওঠে। তারা দেখে, রেল ইয়ার্ডের খুব কাছেই একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই সুড়ঙ্গ দিয়েই চোরেরা আসত, আর এর মধ্য দিয়েই ট্রেনের যন্ত্রাংশ পাচার চলত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তিন জনকে আটক করে। তাদের জেরা করে মুজফফরপুরের একটি গুদামের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখান থেকে ১৩ বস্তা ট্রেনের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্য একটি ঘটনায়, আরারিয়া জেলা সীতাধর নদীর উপর একটি লোহার সেতু খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চোরেরা। এই সেতুটি পল্টনিয়া সেতু নামে পরিচিত। ফরবেসগঞ্জের সঙ্গে রানিগঞ্জের যোগাযোগকারী সেতু এটি। পুলিশ সূত্রে খবর, সেতুর বেশ কিছু অংশ খুলে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। স্থানীয়দের চোখে পড়তেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। তার পরই চুরি রুখতে পাহারা বসানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement