—ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণ থাকলেও, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোড়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি আজ জানান, অক্টোবর মাসে করোনা আবহের মধ্যেই বিহারে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানো গিয়েছে। এটা কমিশনকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। কমিশন তাই নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থাৎ আগামী বছরের মে-জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। অরোড়ার দাবি, ‘‘আগামী দিনে সব নির্বাচনই সময়ে করা হবে।”
অতিমারির মধ্যে গত মাসে বিহারে বিধানসভা ভোট করার সিদ্ধান্তকে অনেকেই বোকামি বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এতে বিহারে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে বলে উদ্বেগ জনিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ। বিহারে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব গোটা দেশে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সুনীল অরোড়া আজ স্বীকার করে নেন যে, অতিমারির মধ্যে নির্বাচন করার ভাবনাটি যথেষ্ট দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, অন্যান্য চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এই নির্বাচনকে ‘শারীরিক ভাবে নিরাপদ’ প্রমাণ করার দরকার ছিল। ভোটার, বুথ কর্মী, নিরাপত্তাকর্মীদের মতো ভোটের সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্যই যে নিরাপদ, তা প্রমাণ করার প্রয়োজন ছিল। অরোড়ার দাবি, কমিশন সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছে সফল ভাবে। কমিশন-কর্তাদের নিজেদের উপরে বিশ্বাস থাকার কারণেই এই ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব হয়েছিল বলে দাবি অরোড়ার। তাঁর মতে, বিহারে এ যাত্রায় ভোট করানোর অভিজ্ঞতা কমিশনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব শেষ হওয়ার কথা আগামী মে মাসের মধ্যে। অরোড়ার অবসর আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল। কমিশন সূত্রের মতে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য যে রাজ্যগুলির ওই সময়ে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলির যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেই সম্ভবত অবসর নেবেন অরোড়া। তবে সূত্রের মতে, কয়েক মাসের জন্য তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে বলল রাষ্ট্রপুঞ্জও
বিহার নির্বাচনে কিছুটা অভূতপূর্ব ভাবে কমিশনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করার ও জয়-পরাজয়ের হিসেব পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আরজেডি ও কংগ্রেস। পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সরব হন আরডেজি নেতা তেজস্বী যাদব। ঘুরিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি-সহ বিরোধীদের আনা কোনও অভিযোগেরই আজ জবাব দেননি অরোড়া। বলেছেন, ‘‘বিহারের নির্বাচন কমিশন আগেই এ সবের জবাব দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: ৪ হাজারের বেশি দৈনিক সুস্থ, কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা