—ফাইল চিত্র।
ফল গণনা এখনও শুরু হয়নি। স্থির হয়নি জিত-হার। তার আগেই প্রশ্নের মুখে ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা। ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের এ ধরনের অভিযোগ গণতন্ত্রের জন্য ঠিক নয় বলে আজ সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। একই সঙ্গে গত কাল বারাণসী ইভিএম কাণ্ডে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য বারাণসীর অতিরিক্ত জেলাশাসক এন কে সিংহকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত কাল বারাণসীতে ইভিএম চুরির অভিযোগ সরব হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিন বাক্স ইভিএম ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন অখিলেশ। কাল ও আজ দফায় দফায় সাফাই দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ওই ইভিএম ভোটের কাজে ব্যবহৃত হয়নি। ভোট গণনার প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহারের জন্য ইভিএমগুলি নির্দিষ্ট করে রাখা ছিল। কিন্তু কোনও ইভিএমকে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওযার সময়ে যে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, তা না মানায় বারাণসীর অতিরিক্ত জেলাশাসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতি একেবারে স্পষ্ট। ওই অফিসারের কারণে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারত। আজ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৩০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক, ১০ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ইভিএম রাখা হয়েছে ত্রিস্তরীয় স্ট্রং রুমের কড়া পাহারায়। স্বচ্ছতার স্বার্থে, প্রতিটি ইভিএম-এর সিরিয়াল নম্বর রাজনৈতিক দলগুলিকেও জানিয়ে রাখা হয়েছে।
ফল গণনার আগেই সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধীদের একাংশ ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে আজ নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে ইভিএম নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো ও জনগণকে কমিশনের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “হারের ভয়ে অখিলেশ যে ভাষায় সাংবাদিক সম্মেলন করছেন তা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। ফল যাই হোক, জনাদেশ মেনে নিতেই হবে অখিলেশকে।” আর এক বিজেপি নেতা পীযূষ গয়ালের কথায়, “যখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি হারে, তখন ইভিএমের কোনও দোষ খুঁজে পাওয়া যায় না। কেবল বিজেপি জিতলেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ওঠে।”