Election Commission

Election Commission: ভোটারদের ‘ঘুষ’, বাজেয়াপ্ত হাজার কোটির সামগ্রী

কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ভোটারদের এ ভাবে প্রভাবিত করার প্রবণতা এবার সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে পঞ্জাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

টাকাপয়সা, উপহার, মদ কিংবা ড্রাগের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ভারতে যে দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেই তথ্য সামনে নিয়ে এল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরের বিধানসভা ভোটের সময়ে এবার হাজার কোটিরও বেশি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগের বিধানসভা ভোটের তুলনায় যা প্রায় চারগুণ।

Advertisement

কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ভোটারদের এ ভাবে প্রভাবিত করার প্রবণতা এবার সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে পঞ্জাবে। সেখানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১০ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার সামগ্রী। এরপর উত্তরপ্রদেশ (৩০৭ কোটি ৯২ লক্ষ), মণিপুর(১৬৭ কোটি ৮৩ লক্ষ), উত্তরাখণ্ড (১৮ কোটি ৮১ লক্ষ), গোয়া (১২ কোটি ৭৩ লক্ষ)। পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০১৮ কোটি টাকার সামগ্রী। অথচ ২০১৭ সালে এই রাজ্যগুলিতেই ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশন ২৯৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এ বার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ১৪০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই টাকা ব্যবহার করার চেষ্টা হয়েছিল। মদ উদ্ধার হয়েছে ৮২ লক্ষ লিটারেরও বেশি, যার মূল্য ৯৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫৬৯ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার। নির্বাচন কমিশনের জালে সোনা-রুপো ধরা পড়েছে ১১৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের। এ ছাড়া, ৯৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, যেগুলি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের ভোটপর্ব এখনও শেষ হয়নি। তার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এই হিসেব সামনে নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর অঙ্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া চলার সময়ে এই ধরনের অবৈধ লেনদেন আটকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিশেষ করে, ভোটের সময়ে খরচের হিসেব দেখতে পর্যবেক্ষকের নিয়োগ, বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, নজরদারি দলগুলিকে ব্যবহার করার কাজ
বাড়ানো হয়েছে। ভোটপর্ব চলার সময়ে এ বার ২২৮ জন ব্যয় পর্যবেক্ষকের নিযুক্তি এ কাজে অনেকটাই সাফল্য নিয়ে এসেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement