কেটি রামা রাও। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (যিনি কেসিআর নামেই সমধিক পরিচিত)–এর পুত্র কেটি রামা রাওয়ের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায়। তার পরেই কমিশনের তরফে জবাব তলব করা হয়েছে কেসিআর-পুত্রের কাছ থেকে, যিনি আবার কেটিআর নামেই তেলঙ্গানা রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত।
রবিবার দুপুর ৩টের মধ্যে কেটিআর-কে জবাব দিতে বলেছে কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকলেও তিনি দলবল নিয়ে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভোটপ্রচার করেন। গত ২১ নভেম্বর এই মর্মে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। কেটিআর তেলঙ্গানার বিআরএস (সাবেক টিআরএস) সরকারের মন্ত্রীও বটে।
গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবেই সরকারি সফরে হায়দরাবাদের রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান টি-হাউসে গিয়েছিলেন কেটিআর। সেখানে গিয়ে তরুণ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই নিয়েই আপত্তি জানায় কংগ্রেস। আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গেলে রাজ্যের মন্ত্রীরা সরকারি সফর করতে পারেন না, নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন না।
কমিশনের তরফে পাঠানো নোটিসে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেটিআর-কে বলা হয়েছে, তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভোটপ্রচার করে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তার পরই জবাব চাওয়া হয় কেসিআর-পুত্রের। এর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
আগামী ৩০ নভেম্বর তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। লড়াইয়ে রয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, টিআরএস এবং কিছু অংশে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল। ভোট পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, দশ বছর তেলঙ্গানা শাসন করার পর এই প্রথম চাপের মুখে পড়েছে বিআরএস। ভোটের আগে শাসকদল ছেড়ে বেশ কিছু বিধায়কের কংগ্রেসে যোগদান সেখানকার লড়াইকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ফল জানা যাবে আগামী ৩ ডিসেম্বর।