—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি-সহ দেশের ১৭ রাজ্যে ৫৫টি রাজ্যসভা আসনে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরে মোট ৭২টি আসনের ভোটে বিজেপির আসন কিছুটা বাড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এ বারেও হচ্ছে না। তবে শরিকদের নিয়ে অনেকটাই স্বস্তির জায়গায় চলে আসবে তারা।
কমিশন জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যে ৫৫টি আসন খালি হচ্ছে, তাতে ভোট হবে ২৬ মার্চ। সে দিনই ফল প্রকাশ। মনোনয়ন পেশের শেষ দিন ১৩ মার্চ। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেই সবথেকে বেশি আসনে এখন ভোট হবে, সাতটি। বাকি ওড়িশায় ৫, তামিলনাড়ুতে ৬, অন্ধ্রে ৪, তেলঙ্গানা ২, অসম ৩, বিহারে ৫, ছত্তীসগঢ়ে ২, গুজরাতে ৪, হরিয়ানা ২, হিমাচলে ১, ঝাড়খণ্ডে ২, মধ্যপ্রদেশে ৩, রাজস্থানে ৩, মণিপুর ও মেঘালয়ে একটি করে আসনে ভোট।
রাজ্যসভার সচিবালয়ের মতে, সংসদের উচ্চকক্ষে ২৪৫ জন সদস্য। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২৩ জনের সমর্থন। বিজেপির সাংসদ এখন ৮২ জন। যদিও শরিক দল মিলিয়ে এনডিএর সংখ্যা ১০৭-এর কাছাকাছি। সেটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে। রাজ্যসভায় গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশের সময় কখনও-সখনও বিজেপির পরিত্রাতার ভূমিকায় নামে বিজেডি, টিআরএস, ওয়াইএসআর, সদ্য ছেড়ে যাওয়া শরিক শিবসেনা। এদের দৌলতে সম্প্রতি রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব আইনও পাশ করিয়ে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের অবশ্য ভাবতে হয় না।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা
এপ্রিলের ৫৫ আসনের পর জুনে কর্নাটক, অরুণাচল থেকে আরও ৫, জুলাইয়ে মিজোরামে ১ ও নভেম্বরে উত্তরপ্রদেশে ১০ এবং উত্তরাখণ্ডে একটি আসন ফাঁকা হবে। বিজেপির এক নেতা জানান, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী তিনশোর বেশি আসন পেলেও ২০১৮ সালের শেষ থেকে সদ্য হওয়া দিল্লি বিধানসভা পর্যন্ত সাতটি রাজ্যে হেরেছে বিজেপি। রাজ্যসভাতেও এর খেসারত দিতে হবে। কিন্তু রাজ্যসভার ভোট ধাপে ধাপে হওয়ায় বেশি প্রভাব পড়বে না।’’
আসনের অঙ্ক
• মোট আসন - ২৪৫
• সংখ্যাগরিষ্ঠতা - ১২৩
• বিজেপি একাই - ৮২
• শরিক মিলিয়ে - ১০৭
হিসেব বলছে, রাজস্থানে দুটি আসন কমবে বিজেপির, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে একটি করে। কিন্তু বছরের শেষে উত্তরপ্রদেশে ৯টি বাড়তি আসন পাবে বিজেপি। সব মিলিয়ে বছরের শেষ পর্যন্ত আরও ১৫ টি আসন বাড়িয়ে নিতে পারে বিজেপি বা তাদের সহযোগীরা। ফলে ‘বন্ধু’ দলের উপর নির্ভরতাও খানিকটা কমবে। কিছু রাজ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সরকার গড়ে কংগ্রেসও এই সুযোগে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিতে চাইছে। এখন তাদের সাংসদ ৪৬। দলের এক নেতা জানান, মহারাষ্ট্র-বিহারে আরও একটি বাড়তি আসন কংগ্রেসকে দিতে বলা হয়েছে শরিকদের। কারণ, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, হিমাচল, অন্ধ্রে আসন হারাচ্ছে তারা।