সপরিবার সুনীল কুমার এবং রাখী গুপ্ত। সিঁড়িতে বসেই ১০ দিন কাটান তাঁরা। ফাইল চিত্র।
ফ্ল্যাটের সামনে সিঁড়িতে বসে ১০ দিন, ১০ রাত কাটিয়ে অবশেষে নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারলেন নয়ডার বৃদ্ধ দম্পতি। নিজেদের ফ্ল্যাট থাকতেও সেই ফ্ল্যাটে ঢোকার জন্য আইনি লড়াইয়ে নামতে হয় তাঁদের। ফ্ল্যাটে ঢুকতে পেরে খুশি কুমার দম্পতি।
কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন সুনীল কুমার এবং রাখী গুপ্ত। অবসরের পর নয়়ডায় জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই মতো গ্রেটার নয়ডার সেক্টর ১৬বি-তে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। তাঁরা স্থির করেন, যত দিন না তাঁরা নয়ডায় আসছেন, তত দিন ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেবেন। এক জন ভাড়াটেও পেয়ে যান। এক মহিলা এবং তাঁর সন্তানকে ফ্ল্যাটটি ১১ মাসের জন্য ভাড়া দেন তাঁরা।
সুনীলের দাবি, ১১ মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে ভাড়াটেকে সতর্ক করেন তিনি। অন্য ফ্ল্যাট দেখার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। কবে তাঁরা ফ্ল্যাটে আসছেন, সে কথাও ভাড়াটেকে জানান। জুনের মধ্যে ঘর ছাড়ার কথা বলে নোটিস দেওয়া ভাড়াটেকে। তিনি সম্মতিও দেন।
সুনীলের আরও দাবি, গত ২২ জুন হঠাৎই ভাড়াটে তাঁদের জানান যে, আর কয়েকটা দিন সময় চান তিনি। আপাতত একটি ঘর খালি করে দিচ্ছেন, সেই ঘরে সুনীলরা এসে থাকতে পারেন। কিন্তু এতে রাজি হননি রাখী। তিনি পাল্টা জানান, একটা ঘরে তাঁদের আসবাব ধরবে না। তাই গোটা ফ্ল্যাটটাই ছাড়তে হবে। এতে রাজি হয়ে যান ভাড়াটে। কথামতো সুনীলরা ১৭ জুলাই মুম্বই থেকে আসবাব নিয়ে রওনা দেন। ১৯ জুলাই নয়ডা পৌঁছন। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই তাঁরা দেখেন, ফ্ল্যাট ছাড়েননি ভাড়াটে। কেন ছাড়েননি তা প্রশ্ন করতেই ভাড়াটে পাল্টা জানিয়ে দেন, এখন তাঁর পক্ষে ঘর ছাড়া সম্ভব নয়। তার পরই সুনীলরা সিদ্ধান্ত নেন, ফ্ল্যাট না ছাড়লে তাঁরা ফ্ল্যাটের সামনে সিঁড়িতেই বসে থাকবেন। টানা ১০ দিন সিঁড়িতে কাটানোর পর অবশেষে আইনি সহযোগিতায় নিজেদের ফ্ল্যাট ফিরে পান সুনীলরা।