গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শ্রীকান্ত পানগড়কর। —ফাইল চিত্র।
দলে যোগ দিয়েই বড় দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই দায়িত্ব থেকে আপতত অব্যহতি দেওয়া হল তাঁকে। শিবসেনায় (একনাথ শিন্ডে শিবির) কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেন গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শ্রীকান্ত পানগড়কর।
সম্প্রতিই জেল থেকে ছাড়া পান শ্রীকান্ত। শুক্রবার খুব ধুমধাম করে শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। জালনা বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বও পান তিনি। দলের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী অর্জুন খোটকারের হাত ধরেই শিবসেনায় যোগ দেন শ্রীকান্ত। সে সময় অর্জুন ঘোযণা করেন, শ্রীকান্ত শুধু দলে ফিরছেন তা-ই নয়, জালনা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রধান হিসাবেও দায়িত্ব পাচ্ছেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, ‘‘শ্রীকান্ত এক জন প্রাক্তন শিব সৈনিক। তিনি দলে ফিরেছেন।’’ এই ঘোষণার পর থেকেই দলের অন্দরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। একটি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আবার কী ভাবে দলে নেওয়া হল এবং তাঁকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
সেই সমালোচনার মাঝেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন শিন্ডে। তিনি নির্দেশ দেন, শ্রীকান্তকে দলের কোনও রকম দায়িত্বে রাখা যাবে না। জেলাস্তরে যে নিয়োগ করা হয়েছে তা ‘অকার্যকর এবং বাতিল’ বলে ঘোষণা করেন শিন্ডে।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয় সাংবাদিক, সমাজকর্মী গৌরীকে। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে গ্রেফতার হন শ্রীকান্ত। গৌরী হত্যাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনিই আততায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে দিয়েছিলেন। গত মাসে কর্নাটক হাই কোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। যদিও ওই খুনের মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। তা ছাড়াও অস্ত্র ছিনতাইয়ের একটি মামলাতেও অভিযুক্ত পানগড়কর। সেই মামলাটিও এখনও বিচারাধীন। সম্প্রতি এই মামলায় পরশুরাম ওয়াঘমারে এবং মনোহর যাদভে নামে দুই অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।