(বাঁ দিকে) ওমর আবদুল্লা এবং গোলাম আহমেদ মির (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-র নেতা ওমর আবদুল্লা। বুধবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) মনোজ সিন্হার কাছে শপথ নেবেন তিনি। ওমরের সঙ্গেই শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে এনসি-কংগ্রেস জোটের আরও আট জন মন্ত্রীও শপথ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক গুলাম আহমেদ মির জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বুধবার ওমর মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। মির এ বার অনন্তনাগ জেলার ডোরু কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন। মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সেন্ট্রাল সালতেঙ্গ বিধানসভা আসন থেকে জয়ী তারিক হামিদ কারাও।
ওমর এর আগে ২০০৯-১৪ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে জম্মু ও কাশ্মীর সে সময় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য ছিল। এ বারের বিধানসভা ভোটে শ্রীনগরের দু’টি আসন গান্ডেরওয়াল এবং বদগামে দাঁড়িয়ে দু’টিতেই তিনি জিতেছেন। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম বিধানসভা ভোট হল জম্মু ও কাশ্মীরে। আর তাতে ক্ষমতা ফের চলে এসেছে আবদুল্লা পরিবারের হাতে। ৯০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬টি আসন।
এর মধ্যে ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল এনসি জিতেছে ৪২টিতে। সহযোগী কংগ্রেস ছয় এবং সিপিএম একটিতে। অন্য দিকে, বিজেপি ২৯, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) তিনটি আসনে জিতেছে। প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোনের পিপল্স কনফারেন্স এবং আম আদমি পার্টি (আপ) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা সাতটিতে। ইতিমধ্যে কয়েক জন নির্দলও ওমরকে সমর্থন জানিয়েছেন।