বাঁ দিকে রাহুল গান্ধী, ডান দিকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
গান্ধী-নেহরু পরিবারের আর এক সদস্য এ বার লোকসভার লড়াইয়ে নামতে চলেছেন। আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে দেখা যাবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে।
‘বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো’ ওয়েনাড় ছেড়ে মা সনিয়া গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া আসন রায়বরেলী ধরে রেখেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। গত ১৭ জুন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার করে রাহুল জানিয়েছিলেন, ওয়েনাড়ে উপনির্বাচনে প্রাথী হবেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। তার আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।
মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি দেশে ১৫টি রাজ্যের দু’টি লোকসভা এবং ৪৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকাতেই রয়েছে ওয়েনাড়। এ ছাড়া কংগ্রেস সাংসদ বসন্তরাও বলওয়ান্তরাও চহ্বাণের মৃত্যুতে খালি হওয়া মহারাষ্ট্রের নান্দেড় এবং বাংলার ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। সবক’টি ভোটের গণনাই হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
প্রিয়ঙ্কাই প্রথম গান্ধী-নেহরু পরিবারের কোনও রাজনীতিক, যিনি শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারত থেকে জীবনে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। রাহুল এবং তাঁর ঠাকুমা দক্ষিণ ভারত থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে জিতলেও জীবনের প্রথম নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়েছিলেন। সনিয়া গান্ধী ১৯৯৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর পাশাপাশি কর্নাটকের বল্লারীকেও বেছে নিয়েছিলেন।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সনিয়া-রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও প্রিয়ঙ্কা আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। এ বার ওয়েনাড় এবং রায়বরেলী, দু’টি কেন্দ্রেই দাদা রাহুলের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ বারের লোকসভা ভোটে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড় জিতিয়েছিল রাহুলকে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ সালের আসন পুনর্বিন্যাসের সৃষ্ট কেরলের এই লোকসভায় কখনও হারেনি কংগ্রেস। সেই ধারাবাহিকতা কি বজায় রাখতে পারবেন প্রিয়ঙ্কা?