বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। মোতিহারির লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর, হরসিদ্ধি ব্লকে এই ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে আবারও বিষমদ খেয়ে মৃত্যু। এ বার মোতিহারিতে মারা গিয়েছেন আট জন। অসুস্থ হয়ে ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। মোতিহারির লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর, হরসিদ্ধি ব্লকে এই ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী পটনা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বার বার বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এই কারণে নীতীশের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। নীতীশ যদিও জানিয়েছে, এ সব ঘটনা আসলে মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছে।
সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষমদে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) সেই নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টে প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে। তার পরেই সেই রিপোর্ট নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছেন, বিজেপির ‘স্বার্থপূরণ’ করতেই পরিদর্শনে গিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন।
সরন নিয়ে বিজেপির অভিযোগের মাঝেই মেজাজ হারিয়েছেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘কেউ মদ খেলে তাঁর মৃত্যু হবে। উদাহরণ আমাদের সামনেই রয়েছে। এই ঘটনায় সমবেদনা জানানো উচিত। ওই জায়গায় গিয়ে এই নিয়ে মানুষকে বোঝানো উচিত।’’ রাজ্য বিধানসভায় নীতীশ আরও বলেন, ‘‘যখন বিহারে মদ নিষিদ্ধ ছিল না, তখনও বিষমদ খেয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মানুষের সতর্ক থাকা উচিত। এ রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ। তাই বিষমদ জাতীয় কিছু বিক্রি করা হয়, তা খেয়েই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মদ খারাপ জিনিস, তা পান করা উচিত নয়।’’
বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বার বার বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই নিয়ে নীতীশ সরকারের দিকে আঙুল উঠেছে। বিজেপি সরকারে থাকার সময়েও তাদের নেতা-মন্ত্রীরা বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। নীতীশ যদিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড়ই রয়েছেন।