নলিনী চিদম্বরম। —ফাইল চিত্র।
সারদা মামলায় আইনজীবী তথা আয়কর পরামর্শদাতা নলিনী চিদম্বরমের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিট গ্রহণের শুনানিতে বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে সংক্ষিপ্তসার রিপোর্ট জমা দিল ইডি। বৃহস্পতিবার ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘চার্জশিট ও সমস্ত নথির সংক্ষিপ্তসার রিপোর্ট কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ও মনোরঞ্জনা সিংহের সঙ্গে নলিনীর যত ই-মেল চালাচালি হয়, তার তথ্যও জমা দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশের সমস্ত প্রতিলিপিও পেশ করা হয়েছে।’’ আদালত সূত্রের খবর, বিচারক রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন। তা পর্যবেক্ষণের পরে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।
প্রসঙ্গত, ৫ জুলাই সারদা মামলায় নলিনীর বিরুদ্ধে ৬৫ পাতার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট-সহ এক হাজার পাতার নথি বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করেছিল ইডি। সে দিন বিচারক প্রশান্তকুমার মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, মামলার ১১ বছর পর চার্জশিট পেশ করা হচ্ছে কেন? এর পরে ১৬ জুলাই ইডির তরফে দীর্ঘ শুনানি করা হয়। বিচারকের প্রশ্ন ছিল,আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সুদীপ্ত সেনের অপরাধ প্রতিষ্ঠিত। তবে আইনি পরামর্শ বাবদ টাকা নেওয়ার জন্য নলিনীর ক্ষেত্রে অপরাধ কী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হল, তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
ইডি জানায়, ওই মামলায় আর এক অভিযুক্ত মনোরঞ্জনা সিংহের সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের মধ্যে বৈদ্যুতিন সংবাদ সংস্থা খোলার জন্য ২০১০-এ একটি চুক্তি হয়। মনোরঞ্জনার সঙ্গে নলিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালে অনুমতি না নিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে সেবির তরফে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এর পরে ২০১০-এ মনোরঞ্জনার মাধ্যমে সুদীপ্তর সঙ্গে নলিনীর সাক্ষাৎ হয়। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে নলিনী, সুদীপ্ত, মনোরঞ্জনা ও সেবির প্রাক্তন তিন কর্তার মধ্যে বৈঠক হয়। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সুদীপ্তর কাছ থেকে চেক মারফত প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছিলেন নলিনী। ইডি দাবি করেছিল, নলিনীকে নোটিস পাঠিয়েও পারিশ্রমিকের নথি মেলেনি।