রাহুলকে তলব নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ কংগ্রেসের
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র তলব নিয়ে রাজধানীর বুকে শুরু থেকেই বিক্ষোভ আন্দোলন করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে গত দু’সপ্তাহে অন্তত ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন ‘উঠে পড়ে লাগা’ দেখে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের অভিযোগ, ইডি এখন নিজের কাজ ছেড়ে শুধুই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ’ পালনের সংস্থায় পর্যবসিত হয়েছে।
বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গত মঙ্গলবার রাহুলকে প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। রাত ৮টা নাগাদ বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছিলেন কংগ্রেস নেতা। বাড়ি ফেরার কিছু ক্ষণের মধ্যে রাতেই আবার ইডির তলবের কথা জানতে পারেন। রাহুলকে বার বার তলব করে ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে বলে দাবি করে কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘মোদী সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ পালনের সংস্থায় পর্যবসিত হয়েছে ইডি। গত কয়েক দিন ধরে রাহুলকে বার বার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্য হল তাঁর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করা। নিজেদের (বিজেপির) অযোগ্যতা প্রকাশ্যে আসতেই আবার নোংরা খেলা শুরু করেছে ওরা।’’
একই মামলায় সনিয়াকেও চলতি মাসের ৮ তারিখ তলব করেছিল ইডি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কোভিডে আক্রান্ত সনিয়া বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। সোমবার তিনি বাড়ি ফিরতেই ২৩ জুন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আবার তাঁকে তলব করা হয়। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আরও কিছু সময় চেয়ে ইডিকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।