ED Raid

দিলজিৎ এবং কোল্ডপ্লে-র টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ! পাঁচ শহরের ১৩ জায়গায় হানা ইডির

দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং কোল্ডপ্লে-র সঙ্গীতানুষ্ঠানের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ। কোথাও কোথাও জাল টিকিটও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার তদন্তে দেশের পাঁচ বড় শহরে হানা ইডির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০০
Share:

(বাঁ দিকে) দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং কোল্ডপ্লে গানের দলের ক্রিস মার্টিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সঙ্গীতশিল্পী দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং কোল্ডপ্লে-র সঙ্গীতানুষ্ঠানের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠে এসেছে। দুই পৃথক সঙ্গীতানুষ্ঠানের টিকিট বিতর্কে এ বার আসরে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার এই ঘটনার তদন্তে পাঁচ রাজ্যের পাঁচ বড় শহরে অভিযান চালিয়েছে ইডি। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর এবং চণ্ডীগড়ে হানা দিয়েছিল ইডির পৃথক পৃথক দল। শনিবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাঁচ জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু ল্যাপটপ, মোবাইল এবং সিমকার্ড। টিকিটের কালোবাজারিতে এই বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

Advertisement

পঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী দিলজিতের ‘দিল্লুমিনাতি’ সঙ্গীতানুষ্ঠানের সফর শুরু হয়েছে অক্টোবর থেকে। দেশের একাধিক জায়গায় এই সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজিত হওয়ার কথা। ২৬ অক্টোবর দিল্লি থেকে এই সঙ্গীত সফর শুরু হয়েছিল। ওই সঙ্গীতানুষ্ঠানের টিকিটের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি টিকিটের কালাবাজারি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।

একই ভাবে ব্রিটেনের রক গানের দল কোল্ডপ্লে-র টিকিট ঘিরেও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। ২০২৫ সালের ১৮-১৯ জানুয়ারি মুম্বইয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান রয়েছে কোল্ডপ্লে-র। দু’টি সঙ্গীতানুষ্ঠানের টিকিটই বিক্রি করেছে অনলাইনে টিকিট বিক্রয়কারী দু’টি সংস্থা। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। এই সুযোগকেই কাজে লাগায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। কালোবাজারে চড়া দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ ওঠে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ‘জাল’ টিকিটও চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে কালোবাজারি শুরু হয়েছিল। এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোগ জমা পড়ে।

Advertisement

সেই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করে ইডি। শুরু হয় তদন্ত। শুক্রবার ওই মামলার তদন্তে পাঁচটি শহরের মোট ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement