অবিজেপি রাজ্যগুলিকে হেনস্থার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার আয়কর দফতর এবং ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট)-কে অপব্যবহার করছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ নতুন নয়। তার মধ্যেই ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের নতুন অভিযোগ বিতর্ক বাড়িয়ে তুলল। তাঁর রাজ্যের আমলাদের ইডি এবং আয়কর বিভাগের অফিসারেরা জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে গায়ে হাত তুলছেন, এমনকি রড দিয়ে মেরেছেন বলে দাবি করেছেন বঘেল। সঙ্গে মৌখিক হুমকি তো রয়েছেই। এর পরে ছত্তীসগঢ়ের আমলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তার পুরো সময়টা ভিডিয়োগ্রাফি করার দাবি জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবার এর মধ্যেই সোমবার নোটিস দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে— এনআইএ, এসএফআইও-র মতো আরও ১৫টি তদন্ত সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে ইডি।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক অপরাধ, বিশেষত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদের অভিযোগের তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি এবং আয়কর গোয়েন্দা দফতর। বিরোধীদের অভিযোগ, অবিজেপি দলগুলির নেতা-মন্ত্রীদের বিপাকে ফেলার জন্য কেন্দ্রের মোদী-অমিত শাহের সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে যেমন তল্লাশি অভিযান এবং মামলা করছে, পাশাপাশি অবিজেপি রাজ্য সরকারগুলির আমলাদের নানা অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। ছত্তীসগঢ়ে কয়লা পরিবহণে দুর্নীতির মামলায় এমনই বেশ কিছু আইএএস এবং রাজ্যের সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের অফিসারকে ইতিমধ্যে ডেকে পাঠিয়ে লম্বা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং আয়কর বিভাগ। বঘেল অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ সময় জেলে ভরে রাখার হুমকির পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তাঁর অফিসারদের উপরে। এমনকি রড দিয়ে মারধরও করা হয় বলে অফিসারেরা জানিয়েছেন তাঁকে। এ জন্য রাজ্যের আমলাদের জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টা ভিডিয়োগ্রাফি করার দাবি জানিয়েছেন বঘেল।
এ দিনই আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আরও ১৫টি তদন্ত সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে ইডি। এর ফলে তদন্তের কাজে সুবিধা হবে। এই ১৫টি সংস্থার মধ্যে এনআইএ, এসএফআইও, সিসিআই ও রাজ্যগুলির পুলিশের নাম রয়েছে। কেন্দ্রের যুক্তি, তদন্তে এদের সঙ্গে সমন্বয়ের সুযোগও বাড়বে। এর আগে আরও ১০টি সংস্থার সঙ্গে এমন তথ্য আদানপ্রদানের অনুমতি ইডি-কে দিয়েছিল কেন্দ্র।