—প্রতীকী ছবি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সাধারণত বিরোধী নেতানেত্রীদের বাড়িতেই তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। সেই ইডি এ বার তামিলনাড়ুতে বিজেপির রাজ্য সদর দফতর, তার পর সেই দফতরের কর্মীর বাড়িতে হানা দিল। এই ঘটনা নিয়ে ইডি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইডি-ও মুখে কুলুপ এঁটেছে।
অবৈধ বালি খনন মামলায় চলতি মাসের ১২ তারিখ তামিলনাড়ুর ছ’টি জেলার মোট ৩৪টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই তদন্তেই মঙ্গলবার ভোর থেকে চেন্নাইয়ের একটি বহুতল আবাসনের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান ইডি-র আধিকারিকেরা। তার মধ্যে একটিতে থাকেন বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের হিসাবরক্ষক জ্যোতি কুমার। তাঁর খোঁজে প্রথমে চেন্নাইয়ের টি নগরে ‘কমলালয়ম’ নামে বিজেপি দফতরে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। কেন জ্যোতির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ইডি আধিকারিকেরা। তল্লাশির মধ্যেই বিজেপির নেতারা জ্যোতির বাড়িতে ঢুকেছেন, বেরিয়েছেন বলে অভিযোগ। তার পরে আচমকাই ইডি তল্লাশি বন্ধ করে বেরিয়ে যায়। এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে ইডি প্রথা মাফিক কোনও বিবৃতি জারি করেননি।
ইডি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই আবাসনের মালিক শনমুগম নামে এক আবাসন নির্মাতা ব্যবসায়ী। তাঁরই একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন জ্যোতি। অভিযোগ, অবৈধ বালি খনন থেকে আসা বিপুল পরিমাণ টাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছে জমা রেখেছিলেন খনি মালিকেরা। সেই সূত্রেই এই অভিযান। গত ১২ সেপ্টেম্বর যে যে এলাকায় ইডি অভিযান চালিয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কে রথিনাম, এস রামচন্দ্রন এবং করিকলনের মতো বালি খনির ঠিকাদারদের বাড়ি ও দফতর।