প্রতীকী ছবি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশ জোড়া আন্দোলনের সময়ই সামনে এসেছিল ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-এর নাম। সাম্প্রতিক দিল্লি হিংসাতেও ওই ইসলামি সংগঠনের ‘ভূমিকা’র কথা জানানো হয়েছিল দিল্লি পুলিশের রিপোর্টে।এ বার পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
বুধবার পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠনের ৩৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর মধ্যে পিএফআই-এর ২৩টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ১০টি অ্যাকাউন্টের প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ টাকা রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার এ বার ইসলামি ওই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গোড়ায় সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, অসম, কেরল-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসাত্মক কার্যকলাপে পিএফআই জড়িত।
প্রসঙ্গত, মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ওই সংগঠনটি গড়া হয়েছিল। কিন্তু গোড়া থেকেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ ভারতে কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী সময়ে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও সংগঠনটির সক্রিয়তা বাড়ে। গোয়েন্দাদের মতে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র মুখ হিসেবে হিংসাত্মক কার্যকলাপে গত দেড় দশক ধরে মদত দিয়ে এসেছে পিএফআই। সিমি-র অধিকাংশ সদস্যই পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।