—প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারির সময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি বুধবার মহারাষ্ট্রের ঠাণে ও নভি মুম্বইয়ের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাল। মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুজিত পাটকর শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে-পন্থী) নেতা সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ দিন সুজিতের সান্তাক্রুজ়ের বাড়ি ছাড়াও তল্লাশি চলেছে আইএএস সঞ্জীব জয়সওয়াল এবং বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা বিএমসির কিছু আধিকারিকের আবাসে।
বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর অগস্টে সুজিত পাটকর এবং লাইফলাইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস ফার্মে তাঁর আরও তিন অংশীদার হেমন্ত গুপ্ত, সঞ্জয় শাহ এবং রাজু সালুংখের বিরুদ্ধে আজাদ ময়দান থানায় তছরুপের মামলা রুজু হয়। সেই এফআইআর-এর সূত্র ধরে ইডি ওই সংক্রান্ত আর্থিক নয়ছয়ের তদন্তে নেমেছে। এই মামলায় গত জানুয়ারিতেই বিএমসির কমিশনার ইকবাল সিংহ চহালের বয়ান রেকর্ড করেছে তারা। এ দিন বেশ কিছু আধিকারিক, ঠিকাদার এবং দুর্নীতির মধ্যস্থতাকারী বলে সন্দেহে আরও কয়েক জনের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছেন সূরজ চহ্বান, যিনি উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
২০২০ সালের জুনে করোনা মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু ফিল্ড হসপিটাল বা খোলা জায়গায় অস্থায়ী চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল মুম্বইয়ে। সেগুলি পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীর বন্দোবস্ত করার দায়িত্বে ছিল বিএমসি। অভিযোগ, সুজিত এবং তাঁর তিন অংশীদার চিকিৎসাকেন্দ্রগুলি পরিচালনার ভার পেয়েছিলেন বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের থেকে। অভিজ্ঞতা তো দূরের কথা, নিবন্ধন না-থাকা সত্ত্বেও সুজিতের সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা-ও বেশি দরে। সেই সময়ে বিএমসির অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন আইএএস সঞ্জীব জয়সওয়াল, যাঁর বাড়িতে এ দিন তল্লাশি হয়েছে।