ছবি: সংগৃহীত।
শরদ পওয়ার যাবেন ইডি দফতরে। আর সকাল থেকেই মুম্বই প্রায় স্তব্ধ করে রেখেছিলেন এনসিপি-র কর্মীরা।
মহারাষ্ট্রের সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁর নাম ওঠা মাত্রই ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুরে তদন্তে সহযোগিতা করতে যাবেন। তাই নিয়ে দেশের আর্থিক রাজধানীতে তুলকালাম। অথচ ইডি বলছে, পওয়ারকে তারা ডাকেইনি। মেল করেও জানিয়েছে, এখন আসার দরকারও নেই। মুম্বই পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও পওয়ারের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন, ‘‘দয়া করে আসবেন না। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে।’’ মুম্বইয়ে ইডি-র দফতরের পাশেই এনসিপির অফিস। অবশেষে বেলা দুটো নাগাদ পওয়ার দলীয় দফতরের বাইরে এসে ঘোষণা করলেন, আজ তিনি যাচ্ছেন না।
হাঁফ ছাড়ল বিজেপি, সরকার, পুলিশ। কিন্তু পওয়ার সাফ বললেন, কেলেঙ্কারির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। আর ইডি দেখিয়ে দমানো যাবে না। সঙ্গে এ-ও জানালেন, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ ফোন করে পাশে থেকেছেন। ফোন এসেছে অন্য দলের নেতাদের থেকেও।
রাহুল শুধু ফোনই করেননি পওয়ারকে, টুইট করেও বলেছেন, ‘‘বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া সরকারের সাম্প্রতিক নিশানা হলেন শরদ পওয়ার। মহারাষ্ট্রের ভোটের এক মাস আগে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক সুযোগ খোঁজারই লক্ষণ।’’ আর রাহুলের টুইটের পর কংগ্রেস বলছে, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির এই টুইট যতটা না নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে, তার থেকেও বেশি অন্য বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে।