উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় তল্লাশি ইডির। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশে মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য সরকারি বৃত্তি প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রের দাবি, এই বৃত্তি প্রকল্পে ৭৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি কলেজ এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেও ধারণা তদন্তকারী সংস্থাটির।
শুক্রবার রাজ্যের ৬টি জেলার ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। একটি তালিকাও তৈরি করেছে তারা। লখনউ, হরদোই, ফারুখাবাদ-সহ একাধিক জায়গার বহু কলেজ ইতিমধ্যেই ইডির নজরে। তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্র জানিয়েছে, এই বৃত্তি মূলত তফসিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই বৃত্তির অপপ্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই-ই নয়, যাঁদের এই বৃত্তি পাওয়ার কথা নয়, তাঁদেরও পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকা এবং ৯৫৬ ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ফিনো পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বহু এজেন্ট এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। ওই ব্যাঙ্কের মহম্মদ সাহিল আজিজ, অমিতকুমার মৌর্য, তনবীর আহমেদ এবং জিতেন্দ্র সিংহ মূলত এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন। তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে যে, বহু কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭-১২ বছরের নাবালক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই চক্র চালাত। এ রকম প্রায় ৩ হাজার অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে ইডি।
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কলেজগুলি ইডির নজরে রয়েছে সেগুলি হল— লখনউয়ের এসএস ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, হাইজিয়া কলেজ অফ ফার্মাসি, হাইজিয়া ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি, সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি, লখনউ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন, ফারুখাবাদের ডঃ ওমপ্রকাশ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, হরদোইয়ের ডঃ ভীমরাও অম্বেডকর ফাউন্ডেশন অ্যান্ড জীবিকা কলেজ অফ ফার্মাসি, আরপি ইন্টার কলেজ, জ্ঞানবতী ইন্টার কলেজ এবং উচাতার মাধ্যমিক বিদ্যালয়।