আরজেডি নেতা সুভাষ যাদব (বাঁ দিকে), লালুপ্রসাদ যাদব (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
অবৈধ বালি খাদান মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ সুভাষ যাদব। শনিবার আট ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয় সুভাষের আটটি পৃথক ঠিকানায়। উদ্ধার হয় নগদ ২ কোটি টাকা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় লালু-ঘনিষ্ঠ আরজেডি নেতাকে।
আরজেডির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়া সুভাষের বিরুদ্ধে অবৈধ বালিখাদান চালানো এবং আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় সুভাষের পটনার বাসভবন-সহ মোট ছয় জায়গায় এবং দানাপুরের আরও দু’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ২ কোটি টাকা নগদ-সহ প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুভাষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছিল বিহার পুলিশ। সেই মামলারই তদন্ত করছে ইডি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের চাতরা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সুভাষ। তবে জিততে পারেননি। এ বছর পটনার গান্ধী ময়দানে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর ‘জন বিশ্বাস র্যালি’তেও সুভাষকে দেখা গিয়েছে।
শুধু ইডিই নয়, এর আগে আয়কর দফতরও তল্লাশি চালিয়েছিল লালু-ঘনিষ্ঠ সুভাষের বাড়িতে। ২০১৮ সালে আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা পটনা, দিল্লি এবং ধানবাদেও তল্লাশি চালান। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুভাষের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে যে, রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করার জন্য লালু এবং তাঁর পরিবারকে জমি এবং ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন সুভাষ।